চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর মুহুর্মুহু গুলি ছোড়া হয়েছিল পাকিস্তানি শুটারগান ব্যবহার করেই। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) তৌহিদুল ইসলাম নামে এক অস্ত্রধারীকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য জানা গেছে। সাতক্ষীরার কামালনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আন্দোলন চলাকালে নগরের চান্দগাঁও, বহদ্দারহাট এলাকায় অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করতে দেখা গিয়েছিল তাকে।
পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার তৌহিদুল ইসলাম পেশাদার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। ছাত্র আন্দোলনে তার ব্যবহৃত অস্ত্রটি একটি পাকিস্তানি শুটারগান। এছাড়া তার কাছে একাধিক অস্ত্র রয়েছে। যা উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেপ্তার তৌহিদের রাজনৈতিক পরিচয় কিংবা কোন রাজনৈতিক নেতাকর্মীর অনুসারী তা জানাতে পারে নি পুলিশ। তবে তার বিরুদ্ধে সিএমপির বিভিন্ন থানায় হত্যা, অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি মাদক ও ছিনতাইয়ের ১২টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটিই হত্যা মামলা।
তৌহিদ চান্দগাঁওয়ের শমশেরপাড়া এলাকার মো. সেকান্দরের ছেলে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) নগরের দামপাড়ায় চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) এক প্রেস বিফিংয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মো. রইছ উদ্দিন বলেন, ‘গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তৌহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ৪ আগস্ট নগরের চান্দগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি করার কথা স্বীকার করেছে তৌহিদ। ওই দিন একাই ২৮ রাউন্ড গুলি ছোড়ে সে। তার ব্যবহৃত এই অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করতে আমাদের অভিযান চলমান আছে।’
এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘তাকে (গ্রেপ্তার আসামি) জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় তার ব্যবহৃত অস্ত্রটি পাকিস্তানি শুটারগান এবং তার কাছে একাধিক অস্ত্র রয়েছে। যেগুলো উদ্ধারের জন্য আমরা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছি।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কর্মকর্তা মো. রইছ উদ্দিন বলেন, ‘তার রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে সে একজন পেশাদার সন্ত্রাসী এবং ছিনতাইকারী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা রয়েছে।’