ঢাকারবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নিখোঁজের সাত দিন পর পাওয়া গেলো শিশু মুনতাহার মরদেহ, গ্রেফতার গৃহশিক্ষিকা

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
নভেম্বর ১০, ২০২৪ ৬:০৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিখোঁজের সাত দিন পর শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাড়ির পাশে পুকুরে মুনতাহার লাশ ফেলে দেয়ার সময় লোকজন দেখতে পেয়ে হাতেনাতে আটক করে এক নারীকে। এরপর জানা গেল মুনতাহার হত্যার কারণ।

রোববার (১০ নভেম্বর) শিশু মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মুনতাহার শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি ও চুরির অপবাদ দেওয়ার ক্ষোভ থেকে গৃহশিক্ষিকা শামীমা বেগম মার্জিয়া ৬ বছরের শিশু মুনতাহাকে হত্যা করে।

এ ঘটনায় গৃহশিক্ষিকা শামীমা বেগম মার্জিয়া, শিক্ষিকার মা আলিফজান বেগম ও তার নানি কুতুবজান বিবিকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার ফজরের নামাজের আগ মুহূর্তে মার্জিয়ার মা আলিফজান বেগম মুনতাহার লাশ একটি গর্ত থেকে তুলে বাড়ির পাশে একটি পুকুরে লাশ ফেলে দিতে চায়। তখন স্থানীয়রা দেখে ফেলে হাতেনাতে আটক করে আলিফজান বেগমকে।

পরে কাদামাটি মাখা মুনতাহার মরদেহ দেখতে পান।

গত ৩ নভেম্বর সকালে মেয়ে ও ছোট ছেলেকে নিয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরেন শামীম আহমদ। এরপর মুনতাহা প্রতিবেশী শিশুদের সঙ্গে খেলতে যায়। বিকেল ৩টার দিকে তাকে খুঁজতে গিয়েও কোনো সন্ধান পায়নি পরিবার। খেলার সাথীরাও মুনতাহার বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি।

এ ঘটনায় গৃহশিক্ষক মার্জিয়ার আচরণ সন্দেহজনকভাবে আটক করে পুলিশ।

মারজিয়ার স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো রফিকুল ইসলাম জানান, গত ৩ নভেম্বর রাতেই মুনতাহাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর মাটি খুঁড়ে চাপা দেওয়া হয়। মারজিয়াকে শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় ক্ষোভ ও তার ওপর চুরির অপবাদ দেওয়ার ক্ষোভ থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।

তবে এ ঘটনায় আর কোনো কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।