ঢাকারবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাড়তি হোল্ডিং ট্যাক্স দরকার নেই, যা পাই তা দিয়েই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে : মেয়র শাহাদাত

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
নভেম্বর ৭, ২০২৪ ৭:০৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান দেনা ৪১২ কোটি টাকা। বাজেট প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা। এটাকে চসিক নির্বাহী কর্মকর্তা নতুন মেয়রের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখলেও ডা. শাহাদাত তা মনে করেন না। যা হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করা হয় তা নিয়মিত দিলেই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে উল্লেখ করে সদ্য মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বাড়তি হোল্ডিং ট্যাক্স দরকার নেই। যেই হোল্ডিং ট্যাক্স আমরা আগে দিয়ে আসছি, সেই হোল্ডিং ট্যাক্স যদি আমরা ঠিকমতো পাই; ইনশাআল্লাহ চসিকে বেতন দেওয়ার জন্য আর কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) চসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন ডা. শাহাদাত হোসেন।

আগের হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করতে না পারার কারণ উল্লেখ করে নতুন মেয়র ডা. শাহাদাত বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্সগুলো আমরা নিতে পারছি না বিভিন্ন কারণে। আওয়ামী লীগ সরকারের অনেকেই হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়িয়েছে। আগের যে হোল্ডিং ট্যাক্স দিত সেটাও এখন দিচ্ছে না। আমি জানি অনেকেই দিচ্ছে না। ৩০-৪০ শতাংশ দিচ্ছে না। তাই একটা জায়গায় এসে এগুলো আমাদের শেষ করতে হবে। শেষ করেই যেই জায়গায় হোল্ডিং ট্যাক্স আমরা দিতাম, আপনারা আগে যেটা দিতেন সেটাই একুরেট দেন।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে চসিকের দেনার পরিমাণ ৪১১ কোটি ৩৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন কাজের বিপরীতে ঠিকাদারদের পাওনা ২৬০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। অবসরে যাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনুতোষিক ৬৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা। তাদের ভবিষ্যৎ তহবিলের টাকা বাকি আছে ৫৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সড়কবাতির বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ ২৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

এছাড়া, কর্ণফুলী নদীর তিনটি ঘাটের বিপরীতে পটিয়া, কর্ণফুলী এবং আনোয়ারা উপজেলা পরিষদ চসিকের কাছে পাবে ৪ কোটি ২ লাখ ১৮ হাজার ৯ টাকা। সাবেক মেয়রদের আমলেও কাজ শেষ হওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের দেনা আছে, যার পরিমাণ ৮৯ কোটি ৭৯ লাখ ৯০ হাজার ২০৭ টাকা।

অন্যান্য দেনার মধ্যে থোক বরাদ্দ খাতে ৪৭ কোটি ২৩ লাখ ৩২ হাজার ২৪৩ টাকা ও সাধারণ বরাদ্দের বিপরীতে ৯৬ কোটি ৮৮ লাখ ৫৯ হাজার ৯৬৬ টাকা পাবেন ঠিকাদাররা। একইসঙ্গে ৭৬-ট ধারায় সমাপ্ত উন্নয়ন কাজের বিপরীতেও এক কোটি ৪৯ লাখ ৮২ হাজার ৯৬৬ পাবেন ঠিকাদাররা। চসিকের যান্ত্রিক শাখার ১২ কোটি ৪৯ লাখ ১৭ হাজার ১৭৫ টাকা ও বিদ্যুৎ শাখার ৮ কোটি ৪১ লাখ ২৬ হাজার ৫৬১ টাকা এবং নেজারত শাখার ১ কোটি ৬৩ লাখ ৪৯ হাজার ৪৬৫ টাকা দেনা আছে। এছাড়া কোভিড-১৯ প্রকল্পে ৮৫ লাখ ১০ হাজার ৮৪০ টাকা এবং বিভিন্ন পত্রিকা বিজ্ঞাপন খাতে চসিকের কাছে পাবে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮৩ হাজার ৫০২ টাকা।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমাদের বাজেট প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। দেনা আছে প্রায় সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার মতো। এটাই নতুন মেয়রের জন্য প্রথম ও অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই নতুন মেয়রকে এগিয়ে যেতে হবে।