ঢাকামঙ্গলবার, ৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মাওলানা সাদ তার গোমরাহী বক্তব্যের তওবা না করলে আসতে দেয়া হবে না : হেফাজত আমির

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
নভেম্বর ৫, ২০২৪ ৪:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।


বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনত উম্মতে মুহাম্মদির ওপর আল্লাহ প্রদত্ত দায়িত্ব। ওলামায়ে কেরামের দাওয়াতের মাধ্যমেই আজ পুরো বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে কোরআন ও সুন্নাহর সহিহ বাণী পৌঁছেছে। আলোকিত হয়েছে সারা বিশ্ব। দাওয়াতের উদ্দেশ্য হচ্ছে খালেকের সাথে মাখলুকের তায়াল্লুক সৃষ্টি করে দেয়া। আত্মভোলা মানবজাতিকে সঠিক পথের দিশা দেয়া। এই দায়িত্ব আমার আপনার এবং উম্মতে মুহাম্মদী সকলের। এই দায়িত্ব পালনের জন্যই মাওলানা ইলিয়াস রহ. তাবলিগের কাজ শুরু করেছেন।’


তিনি আরও বলেন, 
দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের বর্তমান মুরব্বী মাওলানা সাআদ বিভিন্ন সময় কোরআন, হাদিস, ইসলাম, নবি-রাসুল, নবুওয়ত, সাহাবায়ে কেরাম এবং শরয়ি মাসআলা-মাসায়েল নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। তার বক্তব্যগুলো কুরআন-সুন্নাহবিরোধী, যা মেনে নেয়া যায় না।

 

তিনি বলেন, ‘দীনের বিভিন্ন বিষয়ে তার চিন্তাগত বিচ্যুতি ও বিচ্ছিন্নতা এবং  অনেক বিষয়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ও জুমহুরের মুত্তাফাকা তথা ঐক্যমতসমর্থিত মাসআলা ও মাজহাবের খেলাফ করার কারণে শরিয়ত মতে তার এতায়াত জায়েজ নেই৷তার এ সব আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য দারুল উলুম দেওবন্দসহ বিশ্ব আলেমদের কাছে তিনি চরম বিতর্কিত হয়েছেন। আলেমরা দায়িত্ব নিয়ে তাকে সংশোধন করার চেষ্টা করেছেন। তিনি আলেমদের পরামর্শ গ্রহণ করে নিজের বক্তব্য সংশোধন করতে রাজি হননি।’


হেফাজত আমির বলেন, ‘দাওয়াতে তাবলিগ প্রতিষ্ঠা হয়েছে দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে। যারা মাওলানা সাআদের বিরোধীতাকারী আলেমদেরকে দেওবন্দি, হেফাজতি বলছে তারা গোমরাহিতে আছে। হযরতজ্বী ইলিয়াছ রহ. বলে গেছেন, যদি তাবলীগ থেকে ইলম ও জিরিক উঠে যায়, তাহলে দাওয়াতে তাবলিগের কাজে গোমরাহী ডুকে যাবে।’


হেফজতের আমির তাদের দাবিগুলো পেশ করতে গিয়ে বলেন, ‘সরকারের প্রতি আমার দাবি হলো, যতদিন মাওলানা সাআদ তার গোমরহী বক্তব্য থেকে তাওবা না করবে, ততদিন তাকে বাংলাদেশে আসতে দেয়া যাবে না। টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা আলেমদের তত্ত্বাবধানে শুরায়ি নেজামে পরিচালিত হবে। কাকরাইল মারকাজের কার্যক্রম ওলামায়ে কেরামে জিম্মাদারীতে চালু রাখতে হবে। ব্যক্তি মাওলানা সাআদের কারণে ছাত্রজনতা ও আলেম ওলামাদের কুরবানীর বদৌলতে অর্জিত স্বাধীন নতুন এই বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি হোক এবং অন্তবর্তীকালীন সরকার বেকায়দায় পড়ুক আমরা চাই না। আমি আশা করি সার্বিক বিবেচনায় সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন’