চট্টগ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নতুন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম ভৌগোলিকভাবে এমন একটি জায়গায় রয়েছে। যেখানে পাহাড়, সমুদ্র, পর্যটন, স্পেশাল ইকোনমিক জোন থেকে শুরু করে প্রতিটিতে এই চট্টগ্রাম নগরের ওপর দিয়ে যেত হয়। বাংলাদেশকে বাঁচানোর যে চিন্তা, দেশ নিয়ে যে চিন্তা; কাজেই চট্টগ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। এটা অস্বীকার করার জোঁ নেই।’
রবিবার (৩ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১১টার দিকে সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে শপথ পাঠ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
চসিক মেয়র বলেন, ‘আমরা দেখেছি বাংলাদেশের জিডিপিতে গার্মেন্টস খাত, মানবসম্পদ, কৃষিখাত; শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরে এসেছিল। আর এ তিনটি খাত এখনো পর্যন্ত জিডিপিতে অবদান রাখতে পারলেও চতুর্থ আরেকটি খাত জিডিপিতে অবদান রাখতে পারছে না; সেটি হলো পর্যটন খাত। যেই পর্যটন শিল্পকে ব্যবহার করে সার্কভুক্ত দেশগুলো এগিয়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র বাংলাদেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসের কথা বলে এ খাতকে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। এই খাতটিকে ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারেনি।’
তিনি আরো বলেন, ‘চট্টগ্রাম এমন একটি জায়গায় আছে; যেখানে দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সবার প্রথমেই কক্সবাজারের কথা আসে। এরপর চিন্তা করেন বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি; এসব জায়গায় চট্টগ্রাম শহরের ওপর দিয়ে যেতে হবে। এই শহরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে তাহলে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটি কাজে দিবে। প্রধান উপদেষ্টা এদিকে নজর দেবেন।’
‘নগরের অনেক রাস্তাঘাটের অবস্থা বেশামাল অবস্থায় রয়েছে।’ দায়িত্ব নিয়ে রাস্তাঘাটের সমস্যা দ্রুতই ঠিক করা হবে বলে জানান ডা. শাহাদাত হোসেন।
নগরের প্রথম সমস্যা জলাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে চসিকের নতুন মেয়র বলেন, ‘জলাবদ্ধতার প্রকল্প যেটি চসিকের মাধ্যমে হওয়ার কথা ছিল; সেটি ২০১৬ থেকে সিডিএর মাধ্যমে হচ্ছে। ১১ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দের এ প্রকল্প ২০২৬ সালে শেষ হবে। তখনই জলাবদ্ধতার একটি রেজাল্ট পাব। আর নগর সরকার এই প্রকল্প নিয়ে কাজ করলে সেবা ও উন্নয়ন আরও পরিকল্পিতভাবে হবে।’
তিনি বলেন, চসিকের মেয়র হিসেবে আমার দায়িত্ব আছে। তাই আমি মনে করি, এখানে যারা সেবা প্রদানকারী সংস্থা আছে সিডিএ, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, পুলিশ কমিশনারসহ সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে চট্টগ্রামকে একটি ‘প্লেয়িং সিটি’ করার চেষ্টা করবো। সেক্ষেত্রে সবার সহগযোগিতা কামনা করছি। কারণ এটা একটা সিস্টেমের ব্যাপার।’
বিভিন্ন করপোরেশনের কথা তুলে ধরে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘অন্যান্য করপোরেশনের চেয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নাগরিক বেশি। এখানে প্রায় ৭০ লাখ নাগরিক রয়েছেন। এটা একটা বড় শহর। এ শহরটা আমার একার নয়; এটা আমাদের। এটা মাথায় রেখে যদি সবাই কাজ করি তাহলে চট্টগ্রাম শুধু বাংলাদেশের জন্য নয় পুরো দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে গর্ব করে বলতে পারবে। ক্লিন সিটি, গ্রিন সিটি, হেলদি সিটি’ —এটা আমার নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল। এ ইশতেহার পূরণ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবো।’