জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পিচের আচরণ যেন বাংলাদেশকে গোলকধাঁধায় ফেলে দিল। যে পিচে দক্ষিণ আফ্রিকা স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিং করে রানের পাহাড় গড়ে ইনিংস ঘোষণা করল, সেই একই পিচে বাংলাদেশের ব্যাটাররা যেন ধুঁকে মরল। টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান। ক্রিজে আছেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ও মুমিনুল হক। সফরকারীদের চেয়ে পিছিয়ে ৫৩৭ রানে শান্তর দল।
দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে এসে ৫৭৭ রানে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে কিউই অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। দলের হয়ে তিনটি শতক তুলে নেন টনি ডি জর্জি, ট্রিস্টান স্টাবস ও উইন মুল্ডার। সর্বোচ্চ ১৭৭ রান আসে জর্জির ব্যাট থেকে। মাত্র ১৯ রান দূরে থেকে চট্টগ্রামে নিজেদের দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভাঙার আগেই ব্যাট ছাড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে ২০০৮ সালে এই মাঠে এক ইনিংসে ৫৮৩ রান সংগ্রহ করেছিল তারা।
আগের দিনে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রান সংগ্রহ করা প্রোটিয়াদের ইনিংস শুরু করেন জর্জি ও ডেভিড বেডিংহাম। আগের দিনের ২ উইকেটের সাথে দ্বিতীয় দিনের কিউইদের ইনিংসের প্রথম ৩ উইকেটের সবকটিই তুলে নেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। এদিন অর্ধশতক তুলে নেন বেডিংহাম।
৪১৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে লাঞ্চে যায় সফরকারীরা। লাঞ্চের পর আগের মতোই আক্রমণাত্বক ভঙ্গিতে ব্যাট চালাতে থাকেন রিকেল্টন ও মুল্ডার। কিউদের ইনিংসের শেষ উইকেটটি তুলে নেন নাহিদ রানা। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ৫৭৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। কাগিসো রাবাদার বলে উইকেটরক্ষক কাইল ভেরেইনের ক্যাচে পরিণত হন সাদমান ইসলাম। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে বিদায় নেন জাকির হাসান। দুই রান করা জাকিরও রাবাদার বলে ভেরেইনের হাতে ক্যাচ দেন।
মাহমুদুল হাসান জয় ১০ রান করে ডেন প্যাটারসনের বলে দ্বিতীয়স্লিপে এইডেন মার্করামের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামানো হয় হাসান মাহমুদকে। তিন রান করে কেশব মহারাজের স্পিনে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন হাসান। শেষ পর্যন্ত, মুমিনুল হক ৬ রানে এবং নাজমুল হাসান শান্ত ৪ রানে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে স্বাগতিকরা।