ভারত থেকে আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। তিন দিনের ব্যবধানে প্রকারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা।
দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়ায় আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা। এদিকে হঠাৎ দাম বাড়ায় বিপাকে বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকাররা।
হিলি স্থলবন্দর বাজার ঘুরে জানা যায়, গতকাল শনিবার একদিনে ভারত থেকে ৩৪ ট্রাকে আমদানি হয়েছে ৯৯১ মেট্রিক টন ইন্দোর, নাসিক, সাউথ ও নগর জাতের পেঁয়াজ। আমদানিকৃত এসব পেঁয়াজের মধ্যে নাসিক জাতের পেঁয়াজ বন্দরে বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজি দরে। যা তিন দিন আগেও বন্দরে বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি দরে। সাউথ ও নগর জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯৮ থেকে ১০০ টাকা। আর ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯৫ টাকা কেজি দরে। যা তিনদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ৮৫ টাকায়। এদিকে দেশি পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি দরে।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ পাইকারি ব্যবসায়ী শাকিল আহম্মেদ বলেন, বন্দরে কোনো অযুহাত ছাড়াই আমদানিকারকরা হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বন্দরে পাইকারিতে যেসব পেঁয়াজ ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি হিসেবে কিনেছি আজ সেই পেঁয়াজ ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। হঠাৎ করে দাম বাড়ায় আমাদের পেঁয়াজ কিনতে ও বিক্রি করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা একজন ক্রেতা রবিউল ইসলাম বলেন, গত তিন দিন আগে পেঁয়াজ কিনলাম ৮৫ টাকা। আর আজ সেই পেঁয়াজ কিনলাম ১০০ টাকায়। তাহলে আমরা সাধারণ ক্রেতারা কিভাবে কি করব।
পেঁয়াজ কিনতে আসা রানা ইসলাম বলেন, হিলি বাজারে প্রতিদিন বাজার মনিটরিং জরুরি। কারণ দুই দিন আগে যে পেঁয়াজ ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি ছিল সেটা আজ বেড়ে ১০০ টাকা।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক নুর আলম বাবু বলেন, দেশের বাজারে দেশিয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। ফলে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের চাহিদা বেড়েছে, যার কারণে দামও খানিকটা বেড়েছে। এছাড়া দিপাবলী উপলক্ষ্যে ভারতের পাইকারি আড়ৎগুলোতে ৮ দিন পেঁয়াজ কেনাকাটা বন্ধ থাকবে। ফলে পেঁয়াজের আমদানি ও সরবরাহ কিছুটা কমে যাবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দাম আবারও স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশা করছি।
হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে, গতকাল শনিবার ১৬ কর্ম দিবসে ভারত থেকে প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।