ইমার্জিং এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশ ‘এ’ দলের। বাঁচা-মরার ম্যাচে আকবরদের সামনে ১৬২ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুড়ে দেয় লঙ্কানরা। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রানে থামে টাইগাররা। তাতে শ্রীলঙ্কার কাছে ১৯ রানে হেরে ইমার্জিং এশিয়া কাপের গ্রপপর্ব থেকে বিদায় নেয় বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১৬২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন পারভেজ হোসেন ইমন ও সাইফ হাসান। প্রথম তিন ওভারে দুজনে যোগ করেন ৩৮ রান। তবে চতুর্থ ওভারে ২৪ রানে ইমন ফিরলে ধাক্কা খায় টাইগাররা। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। নাঈম শেখ, তাওহীদ হৃদয়দের কেউই আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি।
শেষদিকে আবু হায়দার রনি ম্যাচের পাল্লা নিজেদের দিকে নিয়ে এলেও সফল হতে পারেননি। অবশ্য ঈশান মালিঙ্গার করা ১৮তম ওভারের শুরুতে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত না এলে ম্যাচের ফল অন্যরকমও হতে পারতো। প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন রনি। সে সময় অনুমোদিত সংখ্যার চেয়ে কম ফিল্ডার ভেতরে ছিল। এ অবস্থায় নো বল ধরার বদলে আম্পায়ার ডেড বল ডাকেন।
যার ফলে বিনা বলে ৭ রান হারায় বাংলাদেশ। ফ্রি হিটও পাওয়া যায়নি। মূলত সেখানেই ম্যাচের মোমেন্টাম থেকে ছিটকে যায় টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রানে থামে টাইগাররা। ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন রনি। তাতে ১৯ রানের জয়ে এশিয়া কাপের সেমিফাইনালের টিকিট কাটে লঙ্কানরা।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে এদিন শুরুটা ভালো পায় লঙ্কানরা। তাদের ওপেনিং জুটি ভাঙে ৪০ রানে। ২১ বলে ২৩ রান করে রাব্বির স্পিনে টপ এজ হয়ে ক্যাচ দেন ইয়াশোদা লঙ্কা। এরপর আক্রমণাত্মক লাহিরু উদারাকে ফেরান রেজাউর রহমান রাজা। ২১ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৫ রান করেন লাহিরু। তার বিদায়ের পর বোলিংয়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল লাল সবুজরা।
তবে শেষদিকে পাভান রথনায়েকে ছোট ঝড় তুলে লঙ্কানদের সংগ্রহ দেড়শ’র কাছাকাছি নিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত ২৬ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪২ রান করে রেজাউরের শিকার হন তিনি। চারে নেমে একপ্রান্ত আগলে রাখলেও সুবিধা করতে পারেননি সাহান আরাচচিগে। ১৯.৫ ওভারে রান আউট হওয়ার আগে ২৫ বলে ২ চারের মারে ৩০ রান করেন তিনি।