অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিহ্বলতায় ও সুশীল বুদ্ধিজীবীদের মায়া মমতায় প্রহসনমূলক মুজিববাদের সাথে সাথে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পুনর্বাসন ও চট্টগ্রামজুড়ে ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগ সরকারপন্থী দলবাজ বাহিনী, পরিচিত কুখ্যাত কথিত “কুত্তাবাহিনী” ছাত্রলীগ, একের পর এক হামলা, প্রহসন, আর নৃশংসতায় মাতোয়ারা। এদের রঙিন শার্ট আর খাকি চামচাগিরিতে শাসকগোষ্ঠীর বিশ্বস্ত সেবাদাস হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করা যেন প্রধান কাজ হয়ে উঠেছে। এই নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আজ বিকেল ৪টায় ষোলশহর রেলস্টেশনে স্টুডেন্টস’ এলায়েন্স ফর ডেমোক্রেসি – স্যাড আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিলে জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্টুডেন্টস’ এলায়েন্স ফর ডেমোক্রেসি – স্যাড এর সদস্য জনাব জগলুল আহমেদ, জনাব তৌহিদুল ইসলাম, জনাব মোঃ জমির, জনাব আবির বিন জাবেদ, জনাব সাজিদ সামী চৌধুরী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক জনাব রিজাউর রহমান, জাস্টিস ফর জুলাইয়ের জনাব রিয়াদ হাসান, হাটহাজারী মাদরাসার ছাত্র জনাব জিহাদুর রহমান এবং ফেইল্ড ক্যামেরা স্টোরিজের চলচ্চিত্র নির্মাতা জনাব সাইদ খান সাগর প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা জোরালোভাবে বলেন, “মজলুমের জন্য আমাদের হৃদয় জায়নামাজ, কিন্তু এই ভাড়াটে মাস্তান বাহিনীর জন্য সে হৃদয় হবে কেবল কাফন। আমরা স্পষ্ট বলে দিচ্ছি—এবার না থামলে এই সুশীল কুকুরদের পেছনের দরজা দিয়ে পালানোরও জায়গা থাকবে না।” স্যাডের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর অপসারণ, মুজিববাদের নিপাত ও নিষ্ক্রিয়করণ, এবং ছাত্রলীগ নামের দলীয় গুন্ডাবাহিনীকে নিষিদ্ধকরণের। সংগঠনের নেতারা বলেন, বীর চট্টলাবাসীকে এখন ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন করতে রাজপথে নামতে হবে।
“ফ্যাসিবাদী শাসন আর তাদের চাটুকারদের যতক্ষণ থাকবে, ততক্ষণ আমাদের লড়াই চলবে,”— বলেন জনাব আরিফ। সমাবেশে স্যাডের পক্ষ থেকে বীর চট্টলাবাসীকে আহ্বান জানানো হয়েছে—“এই ফ্যাসিবাদী আস্তানাকে উপড়ে ফেলতে হলে, বেরিয়ে আসুন রাজপথে। আসুন লড়াইয়ে, শেষ অবধি।” মানববন্ধন শেষ করে আন্দোলনকারীরা দুই নম্বর গেট এলাকায় মিছিল বের করেন৷ মিছিলে যোগদান করেন চট্টগ্রামের আপামর সাধারণ ছাত্রজনতা ও বিভিন্ন পেশার মানুষজন। ষোলশহর রেলস্টেশন এর অভিমুখে এসে তাদের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন স্যাডের সভাপতি জনাব জুবায়রুল হাসান আরিফ।