ঢাকাসোমবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলা : আহত ৫

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
অক্টোবর ২১, ২০২৪ ১২:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আজ (সোমবার) ভোররাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে একটি আতঙ্কজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আনুমানিক ৩.৩০-৪.০০ টার দিকে হেলমেট পরিহিত সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিভিন্ন দোকানে ভাংচুর চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, হামলাকারীদের হাতে ছিল বন্দুক ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্র, যা তাদের হামলাকে আরও ভয়ঙ্কর করে তোলে।

এই সন্ত্রাসী হামলায় জনাব ইয়াসিন আরাফাত ফারুকি নামের ভাষা ও ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২১-২২ সেশন (২য় বর্ষ)-এর একজন সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সর্বমোট ৫জন আহত হন, এবং হামলাকারীরা একটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ক্যাম্পাস এবং আশেপাশের এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

এই ঘটনার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তার দাবিতে জিরো পয়েন্টে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে রেলক্রসিংয়ের দিকে অগ্রসর হলে, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা পুনরায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। স্থানীয় বাসিন্দা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা সংঘবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাসীদের স্থানচ্যুত করলে তারা পালিয়ে যায় এবং কাছাকাছি এলাকায় লুকিয়ে অবস্থান নেয়।

এই হামলার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হাটহাজারী থানা থেকে মাত্র ৩ জন পুলিশ পাঠানো হয়, যা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য অপ্রতুল ছিল। পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, রেলক্রসিংয়ে প্রতিবন্ধকতার কারণে তারা সময়মতো ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারেনি। এদিকে, স্থানীয় যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে থানা ওসির ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে, যা পুলিশ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিজে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে রেলক্রসিংয়ে গিয়ে পুলিশকে উদ্ধার করেন। অন্যদিকে, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আশ্বস্ত করেছেন যে আজকের সকল পরীক্ষা ও ক্লাস রুটিন অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে, এবং বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সাধারণ শিক্ষার্থীরা এখনো রেলক্রসিংয়ে অবস্থান করছে এবং তাদের প্রধান দাবি, সন্ত্রাসীদের হামলার বিরুদ্ধে সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও তাদের পুনর্বাসন প্রচেষ্টার তীব্র সমালোচনা করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে, এধরনের সন্ত্রাসী তাণ্ডব ও প্রশাসনের ব্যর্থতা মেনে নেওয়া হবে না এবং প্রয়োজনে আরও বড় আকারের প্রতিবাদ গড়ে তোলা হবে।