সাম্প্রদায়িক হামলাকারীদের কোন ধর্ম নেই, তারা ক্রিমিনাল উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চারের আহ্বান জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘কিছু দুর্বৃত্ত সব ধর্মের লোকদের মধ্যে আছে। এগুলোর কোন ধর্ম নাই। এরা ক্রিমিনাল। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য উপসানলয়ে হামলা চালায়। এদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রত্যেককে সোচ্চার হতে হবে। তারা আমাদের সম্প্রীতিকে লালিত ঐতিহ্যকে যাতে ধ্বংস করতে না পারে।’
নির্ভয়ে ধর্মীয় উৎসব পালনের আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘এদের সংখ্যা কম। আপনারা যদি কোনক্রমে আশঙ্কাবোধ করেন আমাদের নির্দেশ দেওয়া আছে, ডিসি এসপি স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়ে আপনাদের পাশে দাঁড়াবে। আপনারা একা নন, আপনারা এ দেশের নাগরিক। আপনাদের সার্বিক অধিকার আছে। আপনারা মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেন।আপনারা আপনাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন করবেন।’
ভারতের মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহির উদ্দিন মুহম্মদ বাবরের লেখা একটি বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, এক সময় অস্ট্রেলিয়া থেকে আফগানিস্তান পর্যন্ত বৌদ্ধের শাসন ছিল। এমনকি আফগানিস্তানের মাজার শরীফ প্রবেশে পাথর কেটে গৌতম বৌদ্ধের বাণী উৎকীর্ণ করে গেছেন সম্রাট অশোক। আফগানিস্তানের পাহাড়ে একবারে শক্ত পাথর কেটে বৌদ্ধের বাণী উৎকীর্ণ করে গেছেন। আজকে অস্ট্রেলিয়া থেকে আফগানিস্তান পর্যন্ত বৌদ্ধের যে শাসন ছিল তা সংকুচিত। তা আমাদের অসহিষ্ণুতার কারণে।
‘বাংলাদেশ আবহমানকাল ধরে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য লালন করে আসছে। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা আছে। পৃথিবীর সব দেশেই আছে। আমেরিকা, বৃটেন, ভারত, মিয়ানমার সবখানেই। আমরা সবাই এদেশের নাগরিক। আমরা একসঙ্গে লেখাপড়া করি, একসাথে চাকরি করি। একসাথে রাজনীতি করি। আমাদের ধর্মচর্চা, ধর্ম অনুশীলন, ধর্ম প্রচারের অধিকার সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত। সংঘাত, হিংসা, পরশ্রীকাতরতা মানুষকে ছোট করে দেয়। মানুষকে মহৎ করে না। আমাদের মন বড় করতে হবে।’