আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ির পানছড়িতে পাহাড়ের দুই আঞ্চলিক সংগঠনের মধ্যে কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। সবশেষ রোববার সকাল ৯ টা থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা গোলাগুলিতে কয়েকজন হতাহতের কথা বললেও পুলিশ বলছে তাদের কাছে কোন তথ্য নেই।
একাধিক সূত্রের তথ্যমতে, পানছড়ির লোগাং ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের শান্তি রঞ্জন পাড়ায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রসীত গ্রুপের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সন্তু গ্রুপের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়াও লতিবান ইউনিয়নের মাচ্ছ্যাছড়া এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে দুই পক্ষের মধ্যে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনায় হতাহতের খবরও পাওয়া যাচ্ছে।
তবে গোলাগুলির বিষয়টি অস্বীকার করে ইউপিডিএফর মুখ্যপাত্র অংগ্য মারমা বলেন, ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতকে উস্কে দিচ্ছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। কয়েক মাস ধরে পানছড়িতে জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র সন্ত্রাসীর অবস্থান থাকলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ দিকে জনসংহতি সমিতি সন্তু গ্রুপের কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
পানছড়ির লোগাং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জয় কুমার চাকমা বলেন, শান্তি রঞ্জন পাড়ার আশপাশ থেকে সকালে গোলাগুলির শব্দ শোনে অনেকে আমাকে জানিয়েছেন বিষয়টি। এরপর কি হয়েছে আর জানি না।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, সকাল ৯ টা থেকে পানছড়ির দুর্গম এলাকায় আঞ্চলিক সংগঠনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গোলাগুলির খবর শুনেছি। তবে কোন হতাহতের বিষয়ে এখনও তথ্য নেই।