চট্টগ্রাম নগরের জেএমসেন হলে পূজামণ্ডপে ইসলামী সংগীত গাওয়ার ঘটনায় আটক দুজনই মাদ্রাসাশিক্ষক। তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তা খোঁজা হচ্ছে। তাদের নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে তারা পূজা উদযাপন পরিষদের একজন যুগ্ম সম্পাদক সজল দত্তের আমন্ত্রণে সেখানে গিয়েছিলেন।
শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান উপ-কমিশনার (অপরাধ) রইছ উদ্দিন।
এদিকে প্রেস ব্রিফিংয়ের আমন্ত্রণ বার্তায় পূজামণ্ডপের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হলেও সিএমপির এ কর্মকর্তা বলছেন, ‘এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। আটক দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ওই ঘটনায় যদি তাদের কোনো অসৎ উদ্দেশ্য থেকে থাকে এর ভিত্তিতেই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিএমপির এ কর্মকর্তা বলেন, ‘যারা তাদেরকে এ অনুষ্ঠানে ইনভাইট করেছিল, তাদের সঙ্গেও আমরা কথা বলার চেষ্টা করেছি। বিশেষ করে যার নাম উঠে এসেছে, তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদের চেষ্টা চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাকে আমরা পাইনি। চেষ্টা চালাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে অন্যান্য দিনের মতো পূজামণ্ডপে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে দর্শনার্থীরা এসছিলেন। তারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করছিলেন। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির কিছু শিল্পী পূজা কমিটির একজন সদস্যের (সজল দত্ত) অনুরোধে পূজামণ্ডপের স্টেজে গান পরিবেশন করেন। তারা দুটি গান পরিবেশন করেন। এর মধ্যে একটি গানের শব্দচয়ন পূজার্থী পূণ্যার্থীর মনে আঘাত হানে। বিষয়টি অতি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পরপর অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করা হয়।’
আটক দুজন হলেন, শহীদুল করিম (৪২) ও মো. নুরুল ইসলাম (৩৪)। এর মধ্যে শহীদুল করিম তানজিমুম উম্মা মাদ্রাসা এবং মো. নুরুল ইসলাম দারুল ইরফান মাদ্রাসার শিক্ষক।
উপকমিশনার রইছ উদ্দিন আরো বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, পেছনে কোনো উদ্দেশ্য ছিল কিনা সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। এ ঘটনায় কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা সেটিও তদন্তে আসবে।’