বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের (হিন্দু) সনাতনীদের ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার মহাসপ্তমীর প্রার্থনার মধ্য দিয়ে পূজা মণ্ডপে দিনের প্রার্থনা শুরু করেন ক্যাম্পের সনাতন ধর্মালম্বীরা।
সরজমিনে উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে (হিন্দু) গিয়ে দেখা যায়, সহায় সম্বল হারিয়ে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া কুতুপালং শিবিরে থাকা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নারী, পুরুষ ও শিশুরা ক্যাম্পের একমাত্র পূজা মণ্ডপে প্রার্থনা করছেন। অনেকে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার প্রার্থনা করছেন।
ক্যাম্পে ১২৩ পরিবারের ৫২৫ সনাতনীদের জন্য রয়েছে একটি মাত্র মন্দির। মন্দিরের পুরোহিত বাপ্পা চক্রবর্তী জানান, প্রতিবছরের মতো এবছরও হিন্দু ক্যাম্পের বাসিন্দারা নির্বিঘ্নে ও সুষ্ঠু পরিবেশের মাধ্যমে ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উদ্যাপন করা হচ্ছে। মণ্ডপে প্রার্থনা করছেন সনাতনীরা। আজ মহাসপ্তমীর মাধ্যমে দিনের প্রার্থনা শুরু হয়। ক্যাম্পে নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পূজা আর্চনা করতে পেরে খুশি।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা নির্জন রোদ্র জানান, প্রতিবছর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হিন্দুরা দুর্গাপূজা উদ্যাপন করে থাকে। পূজা অর্চনা শেষে মা দুর্গার বিসর্জন দেওয়া হয়।
কুতুপালং হিন্দু ক্যাম্পের মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তরন রোদ্র জানান, বাংলাদেশের সনাতনী হিন্দুদের সাথে আমরা একইভাবে দুর্গাপূজা পালন করে থাকি। এতে স্থানীয় প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করে। স্থানীয়দের সাথে কক্সবাজার সৈকতে মা দুর্গার বিসর্জন দেওয়া হয়।
হিন্দু শিবিরের মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি মধুরাম পাল জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সহযোগিতা করছেন। মহা ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে মূল পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দশমীতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে মা দুর্গার বিসর্জন দেওয়া হবে।
উখিয়া উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রূপন দেওয়ানজী জানান, উপজেলায় ৭টি পূজামণ্ডপ প্রস্তুত করা হয়েছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হিন্দু সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের জন্যও একটি পূজামণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উক্ত পূজামণ্ডপ ও মন্দিরের জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, স্থানীয়দের সাথে দশমীতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে মা দুর্গা বিসর্জন দেওয়া হবে।