তিন পার্বত্য (রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি) জেলায় পর্যটকদের ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ ৪ দাবি জানিয়ে সোমবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে পর্যটন ব্যবসায় সংশ্লিষ্ট দশটি সংগঠন। অন্য দাবিগুলো হলো– পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এ খাতের উদ্যোক্তাদের সাথে পরামর্শ, পর্যটন খাতে আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা এবং এ খাতের উন্নয়ন ও বিকাশের জন্য অব্যহতভাবে নীতি ও আর্থিক সমর্থন সুমুন্নত রাখা। তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি,খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে পর্যটকদের ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্ষন্ত ভ্রমণের নিরুৎসাহিত করায় উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করে স্মারকলিপিতে বলা হয়, আসন্ন শারদীয়া দুর্গোসবকে কেন্দ্র করে যখন দেশবাসী উৎসবের আমেজ ভ্রমনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখনই এ ধরনের ঘোষণায় ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের কাছে পার্বত্য জেলা সমূহে ভ্রমণ বিষয়ে অত্যন্ত নেতিবাচক বার্তা বহন করবে। যা ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের তিল তিল করে গড়ে উঠা পর্যটন খাতকে আবারো খাদের কিনারায় নিয়ে যাবে। যার কারণে সংশ্লিষ্ট পর্যটন ব্যবসা পেশা ও বিনিয়োগ বিষয়ে গভীর অনিশ্চয়তায় ভুগছি। তাই তিন পার্বত্য জেলায় সাধারন পর্যটকদের ভ্রমনে নিরবিছিন্ন রাখা ও স্থানীয় পর্যটন উদ্যোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষার কথা বিবেচনা করা দরকার। হাউস বোট ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি বাপ্পী তঞ্চঙ্গা বলেন, ‘আমরা বর্তমানে পর্যটন ব্যবসায় খুব খারাপ অবস্থায় দিন অতিক্রম করছি। কোন পর্যটক নেই। এর থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে রাঙামাটিতে পর্যটন ব্যবসায় সাথে জড়িত দশটি সংগঠন থেকে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছি। তবে জেলা প্রশাসক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা যায় কিনা অতি শিগরিই এ বিষয়ে উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, ‘এ সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপি পেয়েছি তা শিগগিরই পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’ প্রসঙ্গত অনিবার্য কারণ দেখিয়ে ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটকদের ভ্রমণের নিরুৎসাহিত করে স্থানীয় প্রশাসন।