চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আবাসিক হলসমূহে আসন বরাদ্দের অনলাইন আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়েছে। গত ২৯ সেপ্টেরম্বর দুপুর ১২টা থেকে বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত আবেদন করতে পেরেছেন শিক্ষার্থীরা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) আসন বরাদ্দের ফলাফল প্রকাশ করা হবে। আগামী ৫ অক্টোবর থেকে বরাদ্দপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী হলে উঠতে পারবেন। এরপর ৬ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সশরীরে ক্লাস কার্যক্রম শুরু হবে।
আবাসিক হলগুলোতে আসন বরাদ্দের ক্ষেত্রে মেধাকেই সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়া হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দের ক্ষেত্রে মেধাকে প্রাধান্য দেয়া হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সের বিভিন্ন বর্ষে বা সেমিস্টারে অর্জিত জিপিএ কিংবা অনার্সে প্রাপ্ত সিজিপিএ দেখা হবে।
এ ছাড়া প্রতিটি হলে প্রভোস্টদের জন্য ১০টি করে আসন সংরক্ষিত থাকবে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ও যেসব শিক্ষার্থীদের একান্ত প্রয়োজন তাদেরকে উচ্চতর যাছাই বাছাই সাপেক্ষে এসব আসন বরাদ্দ দেয়া হবে।
আসন বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বাধ্যতামূলক রক্তে মাদকের উপস্থিতি পরীক্ষা করতে হবে। রক্তে মাদকের উপস্থিতি পাওয়া গেলে সেই শিক্ষার্থীকে আর আসন বরাদ্দ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মেধার ভিত্তিতে আসন বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। মেধার ভিত্তিতে আসন বরাদ্দের এ সিদ্ধান্তটি সঠিক সিদ্ধান্ত নয় বলেও দাবি করেছেন অনেকে। শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ বলছেন, আসন বরাদ্দের ক্ষেত্রে শুধু মেধা নয়, পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বাড়ির দুরত্ব ও আর্থিক অবস্থাকেও বিবেচনায় নেয়া উচিত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, আসন বরাদ্দের ক্ষেত্রে মেধার পাশাপাশি দুরত্ব ও আর্থিক অবস্থা বিবেচনার করার দাবিটি যৈক্তিক। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে খুব দ্রুত সশরীরে ক্লাস কার্যক্রম চালু করে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা। এ জন্য আগে আমাদের হলগুলো চালু করতে হবে।
তিনি বলেন, কিন্তু আর্থিক অবস্থা ও দুরত্ব বিবেচনা করতে গেলে অনেক দীর্ঘ একটি সময়ের প্রয়োজন। সেই পরিমাণ সময় এখন আমাদের নেই। আমরা এবার অন্তত মেধার ভিত্তিতে আসন বরাদ্দ দিয়ে ক্লাস কার্যক্রম চালু করে দেই। পরেরবার থেকে আমরা মেধার পাশাপাশি, দুরত্ব ও আর্থিক অবস্থাকেও বিবেচনায় রাখার ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করব।