চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০২১ সালে ২৭ জানুয়ারি। সেই নির্বাচনে ধানের শীষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শাহাদাত পেয়েছিলেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী তিন লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছিলেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী তিন বছরের বেশি সময় এই সিটির মেয়রের দায়িত্বও পালন করেছিলেন। তবে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ১৯ আগস্ট সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন দেয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
২০২১ সালে ২৭ জানুয়ারির ওই নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে দাবি করে ওই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক খাইরুল আমিনের আদালতে নয় জনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা করেন বিএনপির শাহাদাত। সেই মামলায় মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীনের আদালত শাহাদাতকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দেন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এতে এই নির্বাচনের জয়ী প্রার্থী মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অপসারিত হলেও কারচুপির মামলায় আদালতের রায়ে মেয়র পদে বসছেন বিএনপির এই নেতা।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আরশাদ হোসেন আসাদ জানান, চসিকের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আজ (মঙ্গলবার) তাঁকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম আদালতের সিনিয়র আইনজীবী জিয়া হাবিব আহসান বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ডা. শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা আইন সম্মতভাবে হয়েছে। আদালতের এ বিষয়ে এখতিয়ার আছে।’
ডা. শাহাদাতের করা মামলার ৯ বিবাদী হলেন— আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচনি কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান, সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা, মেয়র প্রার্থী আবুল মনসুর, এম এ মতিন, খোকন চৌধুরী, ওয়াহেদ মুরাদ ও জান্নাতুল ইসলাম।