ঢাকামঙ্গলবার, ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

লেবাননে ইসরাইলের বিমান হামলায় নিহত ২৭৪

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪ ১:০৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

লেবাননে ইসরাইলের বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ২১ জন শিশু, ৩৯ জন নারী এবং দুইজন প্যারামেডিক সদস্য রয়েছেন। আহতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়েছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই হতাহতের তথ্য নিশ্চিত করেছে।

 

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলি বাহিনীর মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে হামলা পালটা হামলা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে বেশ কয়েক দফায় বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী।

 

ইসরাইল বলেছে, তারা লেবাননে প্রায় ৩০০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। গত বছরের ৮ অক্টোবর সংঘাত শুরুর পর প্রতিবেশী দেশে এটাই ইসরাইলি বাহিনীর সবচেয়ে বড় হামলা।

 

হামলায় বিনতে জবেইল, আইতারুন, মাজদাল সেলেম, হুলা, তোরা, কলাইলেহ, হারিস, নাবি চিত, তারায়া, শ্মেস্টার, হারবাতা, লিবায়া ও সোহমোরসহ কয়েক ডজন শহরকে টার্গেট করা হয়েছে।

 

 

বেশিরভাগ হামলাই চালানো হয়েছে দক্ষিণ ও পূর্ব লেবাননের আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে। হামলায় নাবাতিয়েহ ও বেকা উপত্যকা অঞ্চলে বহু বাড়ি, গুদাম ও কারখানায় আগুন ধরে গেছে। লেবানিজ সিভিল ডিফেন্স সদস্যরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।

 

লেবানিজ সিভিল ডিফেন্স বলেছে, তাদের জরুরি উদ্ধার দলগুলো ইসরাইলি হামলার ফলে দক্ষিণাঞ্চলে নাবাতিয়েহ ও বেকা এলাকায় বহু বাড়ি, কারখানা ও গুদামের আগুন নেভাতে কাজ করছে।

 

এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, তাদের কর্মীরা আহতদের চিকিৎসা দেয়ার কাজও চালিয়ে যাচ্ছে। যারা নিহত হয়েছেন তাদের লাশ উদ্ধার করছেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে।

 

সংস্থাটি আরও বলেছে, গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে ইসরাইলি বিমান হামলায় যে ভবনটি ধসে পড়েছে সেখানে এখনও লাশ অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে।

আরও বলা হয়েছে, অনুসন্ধানে বিধ্বস্ত ওই ভবন থেকে এ পর্যন্ত ৫৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ৫ জন নাগরিক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

 

এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাতেও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২৪ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৬০ জন আহত হয়েছেন।

 

এর মধ্যে গাজার দেইর এল-বালাহ-তে এক মা ও তার ৪ সন্তান নিহত হয়েছেন। এছাড়া স্কুল-আশ্রয় কেন্দ্রে দুটি আলাদা হামলায় নিহত হয়েছেন আরও ১০ ফিলিস্তিনি।