পার্বত্য চট্টগ্রামে সমস্যা সমাধানে জিয়াউর রহমানের ভূমিকাকে অবহেলার করার কারণেই চলমান পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম নগর জামায়াতের আমীর সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান বৈষম্য দূরীকরণে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা দীর্ঘদিনের। এই সমস্যা সমাধানের জন্য কার্যকর অবদান রেখেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তাঁর ভূমিকাকে অবহেলা করার কারণে আজকে পার্বত্য চট্টগ্রামে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এই সমস্যা ঘাড়ের উপর রেখে বাংলাদেশকে অগ্রসর করা কোনোদিন সম্ভব নয়।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসসহ তাঁর উপদেষ্টা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক একটি স্পেশাল কমিটি গঠন করা দরকার। পার্বত্য চট্টগ্রাম অত্যন্ত অবহেলিত। সেখানে থাকা মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের প্রতি যে বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে তা মোটেও ঠিক হয়নি। বিগত আওয়ামী সরকার তাদের প্রতি অত্যন্ত অন্যায়সূলভ আচরণ করেছে। তাই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি অনুরোধ অতিসত্তর এই সমস্যা সমাধান করা জরুরি।’
এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে চলমান সহিংসতাসহ সকল হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিও জানান তিনি।
বিএনপির চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য অধ্যাপক আহসান উল্লাহ ভূঁইয়া, জামায়াতে ইসলামী খাগড়াছড়ি জেলা আমীর অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল মোমেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা আমীর মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মহানগরী জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ, পার্বত্য চট্টগ্রাম আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এয়াকুব আলী, বাংলাদেশ লয়ার্স কাউন্সিল চট্টগ্রাম জেলা সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামসুল আলম, খাগড়াছড়ি জেলার স্থানীয় সরকার পরিষদের সাবেক সদস্য আবু বকর ছিদ্দিক, বান্দরবান পার্বত্য আইনজীবী ফোরামের এড আবু তালেব, বান্দরবান জেলার জামায়াত নেতা মুহাম্মদ রফিক বসরী, বান্দরবানের সাংবাদিক এস এম সম্রাট, পার্বত্য বাঙালি ছাত্রপরিষদের সাবেক সভাপতি এডভোকেট আবুল আহাদ, এডভোকেট ইব্রাহিম মনির, ইসমাইল নবী শাওন, আসিফ ইকবাল, ছাদেকুর রহমান প্রমুখ। এছাড়া পার্বত্য বাঙালি ছাত্রপরিষদ ও বৈষম্যবিরোধী পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিষদের নেতারা।