দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ কৃত্রিম জলাধার কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি হওয়ায় রবিবার সকাল ৮টায় বাঁধের জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেয়া হয়েছিল। তবে পানি ছাড়ার প্রায় ৬ ঘণ্টা পর দুপুর ২টার দিকে জলকপাটগুলো বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) এটিএম আব্দুজ্জাহের।
তিনি জানান, সকাল আটটা থেকে দুটা পর্যন্ত প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি নির্গত হয়েছে কর্ণফুলী নদীতে। বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটে উৎপাদন হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, হ্রদের কাপ্তাই বাঁধে ১২ দশমিক ২ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১১ দশমিক ৩ মিটার প্রস্থের ১৬টি জলকপাট রয়েছে। এগুলো দিয়ে একসঙ্গে প্রতি সেকেন্ডে ৫ লাখ ২৫ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন করা যায়। ১০৯ এমএসএল (মিন সি লেভেল) ধারণক্ষমতা সম্পন্ন হলেও হ্রদে ১০৮ এমএসএলের অধিক পানি পূর্ণ হলে জলকপাট দিয়ে পানি নিষ্কাশন করা হয়।