ঢাকাসোমবার, ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চবির পাঁচ সমন্বয়ক এর পদত্যাগ প্রসঙ্গে প্রেস ব্রিফিং

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
আগস্ট ১৬, ২০২৪ ৮:৩১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি আর সমন্বয়হীনতা থাকার কারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ সমন্বয়ক রোজ শুক্রবার চাকসু ভবনে বিকাল ৫ টায় এক প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি ঘোষণা করেন।

প্রেস ব্রিফিং এ সমন্বয়কদের পক্ষ থেকে বক্তব্য পাঠ করেন সহ-সমন্বয়ক আল মাসনুন। তাদের বক্তব্যটি হল-

“বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্ম ইতিমধ্যে একটি সফল গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছে। জনমানুষকে একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখিয়েছে। কিন্তু এই সফলতার পরবর্তীতে স্বৈরাচার পতনের মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হলেও, পরবর্তীতে নানা ধরনের সমন্বয়হীনতা দৃশ্যমান হয়েছে।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে সমন্বয়করা জবাবদিহিতা করছে না এবং নানা ধরনের সাফাই দিচ্ছেন যেগুলো অনেকাংশেই একপাক্ষিক। প্রথম থেকেই যেমন সমন্বয়হীনতা ও অপরাজনীতির আভাস পেয়েছি, আমরা সেগুলোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

ভিসি, প্রক্টর ও প্রভোস্টদের পদত্যাগের যৌক্তিকতা ও অযৌক্তিকতা বিষয়ে নানা ধরনের বিতর্ক উঠে আসছিলো। আমরাও তাদের পদত্যাগ চেয়েছিলাম, কিন্তু সেটা ধাপে ধাপে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের আগমণ, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও সকল প্রকার লেজুরভিত্তিক ও দখলদারি দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের ব্যবস্থা করেই যেন ভিসি পদত্যাগ করে। কিন্তু কোন মতামতকে যাচাই বাছাই না করেই সমন্বয়করা ক্যাম্পাসের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে ফেলে। শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়েসমালোচনার সঠিক কোন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি সমন্বয়ক কমিটিতেও।

আন্দোলন চলাকালীন সমযে চবির সমন্বয়ক সংখ্যা ছিলো ২২ জন। কিছু পরবর্তিতে আগস্ট মাসের ৫ তারিখ চবি সমন্বয়ক সদস্য সংখ্যা হয় ৩০ জন।৫ তারিখে নতুন যেই কয়জন কমিটিতে যুক্ত হয়েছে তাদের বিষয় নিয়েও মূল সমন্বয়করা কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি।

এমনসব ঘটনা, জবাবদিহিতাহীনতা ও ট্যাগা-ট্যাগির ফ্যাসিস্ট বয়ান আমাদের মনে স্বাভাবিক প্রশ্নের জন্ম দেয়। আমরা মনে করি, সমন্বয়করা আমাদের সাথে সৎ নন। ক্যাম্পাস সংস্কারের কাজে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে তারা তৎপর নন, প্রভোস্টদের পদত্যাগ না করিয়ে হলে শিক্ষার্থীদের উঠানোর ব্যাপারে আরও ভালো সিদ্ধান্ত তারা নিতে পারতেন।

আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্বেগকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামতকে সম্মান জানাই। তাই আমরা সকলে মিলে নিজ নিজ সমন্বয়ক পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা করছি। আগামীতে বৈষম্যবিরোধী দ্বাত্র আন্দোলনের ব্যানারে যেইসকল কর্মসূচি পালন হবে তার সাথে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে আমরা সবসময় দিলাম এবং আগামীতেও থাকবে।”

মূলত সমন্বয়হীনতা, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রসঙ্গে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার আগেই ভিসি প্রক্টরদের পদত্যাগ এর বিষয়ে তাদের সাথে পরামর্শ না করা এবং দেশের চলমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়কদের অবস্থান দেখে তারা সমন্বয়ক পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্তে উপনীত হন।