ঢাকাবুধবার, ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আমার হার্টে ব্লক, আয়নাঘর আমার সৃষ্টি নয় : জিয়াউল

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
আগস্ট ১৬, ২০২৪ ১১:১৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

হার্টের ৭৯ শতাংশ ব্লক বলে উল্লেখ করে সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান আদালতে বলেছেন, আয়নাঘর আমার সৃষ্টি নয়। আমি নির্দোষ। 

আজ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকাঙলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে রিমান্ড শুনানি চলাকালে বিচারককে এসব কথা বলেন সদ্য সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া জিয়াউল।

আদালতে সচেতন নাগরিক হিসেবে মোহাম্মদ উল্লাহ্ খান জুয়েল নামে এক আইনজীবী বলেন, আজ যে আয়নাঘরের উত্থান, এটার মূল কারিগরি এই আসামি। দেশে যত গুম খুন, এর নেপথ্যের মাস্টারমাইন্ড মেজর জিয়াউল।

এ সময় চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া মেজর জেনারেল জিয়াউল আদালতে বলেন, আমি অসুস্থ, আমার হার্টের ৭৯ শতাংশ ব্লক। আমাকে নিয়মিত মেডিসিন নিতে হয়।

গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত নয় দাবি করে আদালতে জিয়াউল আহসান বলেন, যেসব ব্যক্তি আয়নাঘর থেকে বের হয়ে আসছে তাদের কেউ বলুক আমি তাদের সেখানে রেখেছি। যেভাবে আমাকে নিয়ে দোষারোপ করা হচ্ছে সেটা সঠিক নয়। আমি অসুস্থ। হার্টসহ অন্যান্য সমস্যা রয়েছে।

প্যাগাসাস সফটওয়ারের বিষয়ে আদালত জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্যাগাসাস বলে কিছু নেই। মোবাইল ট্র্যাকিং করিনি।

এ সময় আদালতে জিয়াউলের কথা বলার বিরোধিতা করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। তারা বলেন, তিনি গণহত্যার আসামি। তার কথা বলার অধিকার নেই।

আবার বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের এসব কথার তীব্র বিরোধিতা করেন জিয়াউল আহসানের বোন অ্যাডভোকেট নাজনীন নাহার। এর মধ্যেই জিয়াউল বলেন, র‍্যাবে থাকাকালে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা জিডি হয়নি।

এর আগে বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে এনটিএমসিএর সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানকে আদালতে আনা হয়।

এদিকে ডিএমপি থেকে প্রথমে জানানো হয়েছিল, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল গভীর রাতে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকা হতে এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানকে নিউমার্কেট থানায় রুজুকৃত মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ সকালে তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে শুক্রবার রাতে ডিএমপি থেকে সংশোধনী দিয়ে বলা হয়, সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান (অব.) ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশংকায় সেনাবাহিনীর আশ্রয় গ্রহণ করেন। পরে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে গত ৬ আগস্ট তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক ছিলেন। তিনি ২০২২ সাল থেকে এনটিএমসির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর আগে তিনি ওই কোম্পানির পরিচালক ছিলেন।

দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা গুম নির্যাতনের অন্যতম কারিকর বলে মনে করা হয় জিয়াউল আহসানকে। তিনি আয়নাঘরেরও অন্যতম হোতা বলে অভিযোগ আছে।