সরকার পরিবর্তনের পর পুলিশকে যাতে জনগণের প্রতিপক্ষ হতে না হয়, তাই ভবিষ্যতে পুলিশ প্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রামের পুলিশ সদস্যরা।
আজ বুধবার বিকেলে চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশ লাইনে সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালনকালে পুলিশ সদস্যরা এ দাবি জানান। কর্মসূচিতে পুলিশ বিভাগে পদোন্নতি জটিলতা নিরসন পুলিশ পরিদর্শক পদ থেকে সহকারী পুলিশ কমিশনার পদে ৩০ শতাংশ সরাসরি এবং ৭০ শতাংশ পদোন্নতির মাধ্যমে পুরণ, পুলিশ বাহিনীকে দলীয় সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে যাতে ব্যবহার করতে না পারে সে ব্যাপারে সময়োপযোগী কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানান তাঁরা।
এ সময় সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল ওয়ারিশসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পূলিশ সদস্যরা বক্তব্য দেন। চট্টগ্রামের ১৬টি থানার মধ্যে গত সোমবার বেশিরভাগ থানাসহ পুলিশ স্টেশনে আগুন দেওয়ার পর অনেক পুলিশ সদস্য এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা। একটি নিরপেক্ষ যুগোপযোগী পুলিশ বাহিনী গড়তে ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানান পুলিশের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এদিকে দ্বিতীয় দিনের মতো বন্দরনগরীতে পুলিশবিহীন কাজ চলছে। ১৬টি থানার মধ্যে কোনো পুলিশ কাজ করছে না। চট্টগ্রামের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ ও পরিচ্ছন্নতা অভিযানের দায়িত্ব পালন করছে শিক্ষার্থী-জনতা। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি চট্টগ্রাম শহরের গুরুত্বপুর্ণ মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্তা নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করছে রেড ক্রিসেন্ট, বিএনসিসিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। এ ছাড়া নগরীর ৯টি থানায় কাজ শুরু করেছে আনসার বাহিনীর সদস্যরা।
আনসার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক জানান, নগরীর ৯টি থানায় আনসার সদস্যরা কাজ শুরু করেছে। প্রতি থানায় ছয়জন করে পালাক্রমে কাজ করবে। এ ছাড়া নগরীর ৩১টি পয়েন্টে ৩৮ জন আনসার সদস্য ১৪৪ জন ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছেন।
এদিকে নগরীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। নগরীর মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব নিয়ে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার কথা জানান।
আনসার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এ এস এম আজিম উদ্দিন জানান, আনসারের সদস্যরা কাজ শুরু করেছে। চট্টগ্রাম আদালত ও জেলা প্রশাসনের কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।