চলমান কোটা আন্দোলনে এখন যারা রয়েছে তারা রাজাকারের প্রেতাত্মা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, কোটা আন্দোলন এখন আর সাধারণ শিক্ষার্থীদের হাতে নেই, এখানে যারা রয়েছে তারা রাজাকারের প্রেতাত্মা। আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের গিনিপিগ বানানো হয়েছে, তাদের কাজে লাগিয়ে একটি গোষ্ঠী রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, কোন প্রক্রিয়ায় সোমবারে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে জানতে হবে। যারা আক্রান্ত হয়েছে উল্টো তাদের হামলাকারী বানানো হয়েছে। কিন্তু কোটা সংস্কারের আন্দোলনকারীরাই প্রথমে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন হলে নেতাকর্মীরা অবস্থান করেছিলেন। কিন্তু যেখানে যাকে যেভাবে পেয়েছে আক্রমণ চালিয়েছে কোটা আন্দোলনকারীরা। হলের বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। এরপরও ছাত্রলীগ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে।
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, এখন যারা আন্দোলনে রয়েছে তারা কোটা সমস্যার সমাধান চায় না। শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্তি করে রাজাকারের রাজনীতি পুনর্বাসন করতে চায়। তাই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান সাদ্দাম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সংবাদ সম্মেলনে সাদ্দাম বলেন, সীমা লঙ্ঘন করছেন। দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে নিয়ে ন্যূনতম বক্তৃতা বিবৃতি, কোনো বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা হলে ছাত্রলীগ শেষ দেখে ছাড়বে। তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগের ওপর হামলাকারী ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারদের রুখে দিতে ছাত্রলীগ বদ্ধ পরিকর।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে আর কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী নেই। কোটা ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনকারী নেই। এখন যারা রয়েছেন, তারা রাজাকারদের প্রেতাত্মা। এরা কোটা সমস্যার সমাধান চায় না। শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্তি করে রাজাকারের রাজনীতি পুনর্বাসন করতে চায়। তাই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান করছি।
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের গিনিপিগ বানানো হয়েছে, তাদের কাজে লাগিয়ে একটি গোষ্ঠী রাজনৈতিক উদ্দেশ হাসিলের চেষ্টা চালাচ্ছে। কোন প্রক্রিয়ায় সোমবারের ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে জানতে হবে। যারা আক্রান্ত হয়েছে উল্টো তাদের হামলাকারী বানানো হয়েছে। আসলে কোটা সংস্কারের আন্দোলনকারীরাই প্রথমে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।