চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিগত ডামি নির্বাচনের আগে দেশের ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিএনপির বলিষ্ঠ নেতাকর্মীদের টার্গেট করে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করেছিল আওয়ামীলীগ। এখনো তারা কারাগারগুলো বিএনপির নেতাকর্মীদের দ্বারা পরিপূর্ণ করে রেখেছে। অবৈধ দখলদার সরকার তাদের দখলদারিত্ব ধরে রাখার জন্য পুরো দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। সরকার বিরোধীদের জীবন এখন রাষ্ট্রীয় বন্দুকের নলের নিচে বন্দি। বর্তমানে প্রত্যেকটি কারাগার হচ্ছে শেখ হাসিনার বন্দিশালা। এই জুলুমবাজ সরকারের সময়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা কোথাও নিরাপদ নয়। বিগত সরকার পতনের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যাঁরা জেলখানায় মৃত্যুবরণ করেছে, যারা গ্রেফতার হয়েছে তারা এদেশের গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আন্দোলন করে গ্রেপ্তার হয়েছেন। যাঁরা আজ জেলখানায় মৃত্যুবরণ করেছে তাদের শহীদী মৃত্যু হয়েছে। শহীদের রক্ত কোনো দিন বৃথা যায় না। বিএনপি নেতাকর্মীরা দেশের জন্য যে আত্মত্যাগ করে গেছেন, তা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
তিনি রবিবার (২৩ জুন) বিকালে নগরীর চকবাজারস্থ কিশলয় কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম ৯ আসনে (কোতোয়ালী, বাকলিয়া, চকবাজার) বিগত আন্দোলন সংগ্রামে মিথ্যা মামলায় কারাবরণকারী ও হামলা মামলার শিকার দুই শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীদের সংবর্ধনা প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এতে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
এসময় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, এই অবৈধ সরকার তাদের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য অসংখ্য গণতন্ত্রকামী মানুষকে গ্রেফতার করেছে। রাষ্ট্রযন্ত্র দিয়ে জনগণকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে সরকার। এখানে আইন কানুন কোনো কিছুর দরকার নেই। আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বললেই তাকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে। দেশে এখন জঙ্গলের শাসন চলছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। জনগণের শক্তির কাছে অচিরেই এই সরকারকে মাথানত করতে হবে।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, রাজনীতি করলে গ্রেপ্তার হবে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার কিন্তু নির্যাতন ও অত্যাচার যেভাবে সীমা ছাড়িয়ে গেছে এটা সহ্য করা যায় না। তারপরও আমাদের নেতাকর্মীদের মনোবল হারায়নি। তারা আশায় আছে, আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে। জনগণের আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট সরকার টিকে থাকতে পারবে না। তারেক রহমান হতাহত ও নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীরা আরও ত্যাগ শিকারের জন্য শপথ গ্রহণ করেছেন।
চকবাজার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মন্জুর আলম মন্জুর সভাপতিত্বে ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সি. যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান ও মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, হাজী মো. আলী, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, মহানগর বিএনপি নেতা ইয়াসিন চৌধুরী আসু, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দীন, আবদুল্লাহ আল হারুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, মনির আহম্মেদ চৌধুরী, আবদুল কাদের জসিম, নুর হোসাইন, গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া, মহানগর বিএনপি নেতা এড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ডা. এস এম সারোয়ার আলম, দিদারুল আলম, ইব্রাহিম বাচ্চু, মো. আলী, আবদুল বাতেন, একেএম পেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, মো. ইদ্রিস আলী, অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম, নকিব উদ্দিন ভূঁইয়া, ইউছুপ শিকদার, জাকির হোসেন, মো. মহসিন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী নবাব খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, আবদুল্লাহ আল ছগির, আলাউদ্দিন আলী নুর, কাজী শামসুল আলম, আলী আব্বাস, মো. বেলাল, খন্দকার নুরুল ইসলাম, দিদারুর রহমান লাভু, রাসেল পারভেজ সুজন, মো. আলমগীর, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহম্মেদ, এম এ হালিম বাবলু, হাজী এমরান উদ্দীন, ইয়াকুব চৌধুরী নাজিম, সাদেকুর রহমান রিপন, সৈয়দ আবুল বশর, হাজী আবু ফয়েজ, হাসান ওসমান চৌধুরী, জসিম মিয়া, নাছির উদ্দীন চৌধুরী নাসিম, কোতোয়ালী থানা যুবদলের সদস্য সচিব মো. হাসান, সি. যুগ্ম আহবায়ক এম এ জলিল, বাকলিয়া থানা যুবদলের আহবায়ক ইসমাইল হোসেন লেদু, সদস্য সচিব মো. মুছা, চকবাজার থানা যুবদলের আহবায়ক মো. সেলিম, কোতোয়ালী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এন মো. রিমন, সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল হাসান সোনা মানিক, ছাত্রদলের সি. যুগ্ম আহবায়ক মো. ফয়সাল প্রমুখ