রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব রুখতে আওয়ামী লীগ সরকারকে তা উপলব্ধি করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উভয় দিক থেকে বাংলাদেশ গভীর সংকটে রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
একদফা দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলায় কারামুক্তির পর রাজনীতিতে ফের সক্রিয় বিএনপি মহাসচিব। সরকারবিরোধী আন্দোলনকে ফের চাঙা করতে দল গুছানোর চেষ্টা করছেন। যুগপৎ আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর সাথেও সমন্বয় করছেন পূর্বের মতো।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমার মনে হয়, দেশ এখন সবচেয়ে খারাপ আছে। দেশের অর্থনীতি একেবারেই তলানিতে এবং রাজনৈতিক অবস্থাও ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। দুটো মিলিয়েই দেশের অবস্থা খুবই খারাপ। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, যারা শাসন করছে, তারা জনগণের সঙ্গে রীতিমতো প্রতারণা করছে। যা সত্য, তা তুলে ধরছে না। এমনকি সংসদেও তারা সত্য কথা বলে না। যার কারণে সত্যিকার অর্থে বাংলাদশকে এখন আর ঠিক রাষ্ট্র বলা যায় না। জনগণের কোনো দায় দায়িত্ব তাদের ওপর আছে বলে মনে হয় না আমার।
জবাবদিহিমূলক সরকার যদি প্রতিষ্ঠিত হয়, সেটাই উত্তরণের উপায়। যে সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হবে এবং সেই নির্বাচিত পার্লামেন্টের থাকবে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা… তাহলেই একমাত্র জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এটাই একমাত্র পথ বলে আমি মনে করি।
জনগণকে সম্পৃক্ত করেই পরিবর্তন আনার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা সবসময় জনগণকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করি। আপনারা দেখেছেন, গত বছর অক্টোবরের আগে আমরা আন্দোলন করছিলাম। সেখানে কিন্তু একেবারে তৃণমূল থেকে আন্দোলন হয়ে আসছিল। জনসভা, মিছিল, রোডমার্চ ইত্যাদি করেই জনগণকে সম্পৃক্ত করছিলাম। প্রতিটি জনসভায় আমাদের লোক বাড়ছিল। চট্টগ্রামের রোডমার্চে আমি দেখেছি, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া। এরপরেই ঢাকার সমাবেশ পণ্ড করে দেয়া হলো। আমাদের ওপর সরকারের এই নিপীড়ন নীতিতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করা হচ্ছে। যার ফলে আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলন পুরোপুরি ব্যাহত হচ্ছে। বাধা আসতেই পারে কিন্তু এটাকে জনগণ ওভারকাম করবেই।
আমাদের প্রস্তুতির ব্যাপারে আমি আপনাকে বুঝাতে পারব কি না জানি না। নির্বাচন হয়ে গেছে। এখন সারাদেশে আমাদের কর্মীদের মধ্যে একরকম হতাশা ভর করছে। সেটা কাটিয়ে ওঠাটাই এখন মূল কাজ। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা রয়েছে, অনেকে সাজাপ্রাপ্ত। সেখান থেকে তাদের বের করা, মুক্ত করাটাই এখন আমাদের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ।