ভারতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ তৃতীয়বারের মতো সরকার গড়তে চলেছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে অধিকাংশ বুথফেরত সমীক্ষা। কোনো কোনো সমীক্ষায় ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে বিজেপি একাই ৩৫০-৩৭৫ আসন পেতে পারে। ‘৪০০ পার’ করে যাবে এনডিএ।
কংগ্রেসসহ বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ আশানুরূপ ফল পাবে না বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে সমীক্ষাগুলো। কিন্তু সেই সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিলেন কংগ্রেস নেত্রী তথা রাজ্যসভার সংসদ সদস্য সোনিয়া গান্ধী। সোমবার (০৩ জুন) তিনি স্পষ্ট জানান, বুথফেরত সমীক্ষার সম্পূর্ণ বিপরীত ফলাফল হবে।
এদিন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম করুণানিধিকে তার শততম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানানোর এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সোনিয়া। সেই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কংগ্রেস নেত্রী বলেন, ‘অপেক্ষা করুন আর দেখুন। আমরা খুব আশাবাদী। বুথফেরত সমীক্ষা যা দেখিয়েছে, আমাদের চূড়ান্ত ফল তার সম্পূর্ণ বিপরীত হবে।’
শুধু সোনিয়া নন, বুথফেরত সমীক্ষা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছে জোট ‘ইন্ডিয়া’র অন্য নেতারাও। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘২০১৪ সালে আমরা ৩৪টি আসনে জিতেছিলাম। সে বারও এক্সিট পোল আমাদের এতগুলো আসন জেতার কথা বলেনি। এ বার আমরা তার থেকেও ভাল ফল পাব।’
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বুথফেরত সমীক্ষাকে ‘ফেক’ বলে কটাক্ষ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘সংবাদমাধ্যম কী করে বলে দিচ্ছে ওই আসনে ও জিতবে, অমুক আসনে কে জিতবে। কত টাকার বিনিময়ে? আমি এই সংবাদমাধ্যমের হিসাব মানি না। কর্মীদের বলব শক্ত থাকতে।’
এছাড়া কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বুথফেরত সমীক্ষাকে ‘মোদি মিডিয়া পোল’ বলে কটাক্ষ করেছেন। বুথফেরত সমীক্ষা নিয়ে আপ, কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএমসহ একাধিক বিজেপি বিরোধী দলই সরব হয়েছে। একইসঙ্গে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ‘ভেঙে’ না পড়ার পরামর্শও দিয়েছে দলগুলো।