ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের পর আলোচনায় এসেছে এমপিদের চোরাকারবারে জড়িত থাকার বিষয়টি। তিনবারের নির্বাচিত এমপি আনার চোরাকারবারে জড়িত ছিলেন এমন খবরও পাওয়া যাচ্ছে। এমন একজন ব্যক্তি আওয়ামী লীগ থেকে কীভাবে তিন-তিনবার এমপি হয়েছেন সেই প্রশ্ন উঠেছে। শুধু এমপি আনার নন, বর্তমানে নির্বাচিত ৮০ ভাগ এমপিই চোরাকারবারে জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে শতকরা ৮০ ভাগ নির্বাচিত এমপিই চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত। এটা বলে কী লাভ হবে? আমরা এত বছর রাজনীতি করেছি, আমাদের নমিনেশন দেয়নি। নমিনেশন দিয়েছে যার রাজনীতির কোনো জ্ঞান নেই, তাকে।’ এ সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে যার যার অবস্থান থেকে কোমর সোজা করে দাঁড়াতে হবে, এমন মন্তব্য করেন দিলীপ বড়ুয়া। তিনি বলেন, ‘কোমর সোজা না করলে যে যেখানে আছেন সেখানটা নিশ্চয়ই নষ্ট করবেন। যেমন আপনি সাংবাদিকতায় আছেন, কেউ মাস্টার আছেন, কেউ ডাক্তার আছেন, কেউ উকিল আছেন সবই ধ্বংস হবে।’ আনার হত্যাকাণ্ডকে দেশ ও সরকারের জন্য দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেন প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ। তিনি বলেন, ‘স্মাগলার চোরাকারবারি, সন্ত্রাসী বা মাদক পাচারকারীর স্থান যেকোনো গণতান্ত্রিক মূল্যবোধসম্পন্ন কোনো দলে থাকার কথা নয়।’ দুঃখ প্রকাশ করে দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘রাজনীতি যেখানে যাওয়ার চলে গেছে, বাকি তো কিছু নেই আর। যেভাবে ভোট হচ্ছে, ভোটটাকে আপনি দিলেন শেষ করে। সবাই চান নিজেরটা। কিন্তু দেশের কী হবে কেউ চিন্তা করে না। চিন্তা করে যে আমার কী হবে, আমি কত টাকা বানাতে পারলাম, হাজার কোটি টাকা… এসব। বাড়ি একটা কানাডাতে নিয়েছি, আরেকটা ওয়াশিংটনে নিতে পারি কি না এসব নিয়েই সবাই ব্যস্ত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আনারের মতো এ ধরনের চিহ্নিত অপরাধী, যাকে ইন্টারপোল একসময় খুঁজছিল; তাকে বা তার মতো যারা, তাদের পার্টিতে স্থান দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।’