ঢাকাবৃহস্পতিবার, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নেত্রীর জন্য জান দেবেন আর সিদ্ধান্ত মানবেন না, সেটা উচিৎ না : দীপু মনি

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
এপ্রিল ২৮, ২০২৪ ১০:১৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নেত্রীর (শেখ হাসিনা) জন্য জান দেয়া নয়, বরং তার সিদ্ধান্ত মানার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। রোববার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘১/১১ এর সময়ে কারাবন্দি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে ২৫ লাখ গণস্বাক্ষর জমা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মুখে মুখে আমরা নেত্রীর জন্য ‘জানও দিয়ে দেব’ বলে থাকি। কিন্তু নেত্রী দলের পক্ষ থেকে যে সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন, তা অনেক সময় মানি না। নেত্রীর তথা দলের সিদ্ধান্ত না মেনে নিজেদের মতো চলবেন, এটা তো হওয়া উচিত না।

ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা কথায় কথায় বলি, নেত্রীর জন্য জান দিয়ে দেবো। কিন্তু কেউ জান দিয়ে দিক এটা নেত্রী চান না। নেত্রী যে সিদ্ধান্ত দেন, সেই সিদ্ধান্ত মানি কিনা? সেটা কেন্দ্রে হোক, তৃণমূলে হোক, যেখানেই হোক। আমাদের সবার যদি এরকম হয় যে, বিচার মানি তালগাছ আমার, তাহলে কিন্তু হবে না। তাহলে কিন্তু নেত্রীর প্রতি ভালোবাসা হলো না।’

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক দল, এর সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াও গণতান্ত্রিক। নেত্রী কারও ওপর কিছু চাপিয়ে দিচ্ছেন না। প্রত্যেকের সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনার মধ্যদিয়ে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। মূল সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আমাদের মত থাকতে পারে। কিন্তু যখন সিদ্ধান্ত হয়ে যায়, তখন সেটা দলীয় সিদ্ধান্ত। হয় আমি সেই সিদ্ধান্ত মানি, না হয় আমি দল করবো না। সেই স্বাধীনতা আপনার আছে। কিন্তু আপনি দলও করবেন, নেত্রীর জন্য জানও দিয়ে দেবেন বলবেন, কিন্তু নেত্রীর নেতৃত্বে দলের যে সিদ্ধান্ত সেটা মানবেন না, তখন নিজেরা নিজের মতো চলবেন, এটাতো আসলে হওয়া উচিত না।’

ডা. দীপু মনি বলেন, আমাদের ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগসহ যত সংগঠন আছে সব সংগঠনের সবার সামগ্রিকভাবে আমাদের বৃহত্তর যে আওয়ামী পরিবার আছে আমাদের ঐক্য, আমাদের আদর্শের প্রতি ষোল আনা অঙ্গীকার ও শৃঙ্খলা থাকা জরুরি। কারণ, আমাদের যত অর্জন, বাংলাদেশের যত অর্জন সবকিছু এসেছে আওয়ামী লীগের মাধ্যমে। আর সেই অর্জনকে নস্যাৎ করে দেবার জন্য যে অপশক্তি, তারা বঙ্গবন্ধুর সময় যেমন ছিল, আজকেও তারা সক্রিয় আছে। অতএব, আমাদের ঐক্য, সংকল্পের দৃঢ়তা, দলীয় আনুগত্য যদি সুধরে রাখতে না পারি, তাহলে কিন্তু সেই অপশক্তি আবারও ছোবল হানবে। তাই দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব ওই অপশক্তি যেন কখনও ছোবল মারতে না পারে, সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে। সেই দ্বায়িত্ব পালনে যেন আমরা কখনও পিছ পা না হই। আমি মনি করি, সেটিই আমাদের অঙ্গীকার হওয়া উচিত। ’

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগকে ভাঙতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়ে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ সালের ১১ জুন জনতার চাপে বাধ্য হয়েছিল শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে। মাত্র ১৫ দিনে ২৫ লাখ স্বাক্ষর সেই সময় সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিল। আরেকটি ভূমিকা রেখেছিল আমাদের বর্ধিত সভা। যেখানে সারা দেশ থেকে নেতারা এসে সারা দেশকে জানিয়ে দিলো ‘নো শেখ হাসিনা, নো ইলেকশন’।

সাপ্তাহিক গণবাংলার প্রধান উপদেষ্টা এম এ করিমের সভাপতিত্বে ও সাবেক ছাত্র নেতা চন্দন কুমার ঘোষের পরিচালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।