অসহনীয় দাবদাহের মধ্যেই কিছুটা সুখবর দিলো আবহাওয়া অফিস। জানা গেছে, মে মাসের শুরুতেই সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে। ফলে, কিছুটা কবে যাবে চলমান তাপপ্রবাহ।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে আগারগাঁওয়ে ব্রিফ করে এ তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক। তিনি বলেন, এপ্রিল মাস জুড়ে তাপপ্রবাহ থাকলেও মে মাসের ২ তারিখ থেকে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। ২ থেকে ৫ মে পর্যন্ত প্রতিদিনই বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানান তিনি। এরসাথে রয়েছে কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার সম্ভাবনাও।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার, তৃতীয় দফায় ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অফিস। গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু অনুভূত হচ্ছিলো ৪৫ ডিগ্রির বেশি। ঢাকায় আজ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক এক ডিগ্রী সেলসিয়াস। কিন্তু আর্দ্রতার কারণে গরম কিছুটা বেশি অনুভূত হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত আজকের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসে বলা হয়, চুয়াডাঙ্গা ও যশোর জেলাসমূহের উপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলার উপর দিয়েও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও ঢাকা, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, বগুড়া, নঁওগা, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, কুড়িগ্রাম, পঁঞ্চগড়, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
তবে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সাথে এসব অঞ্চলের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে হতে পারে শিলাবৃষ্টিও।
এর আগে, চলতি মাসেই দুই দফায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করেছিলো আবহাওয়া অধিদফতর। দ্বিতীয় দফায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা দেয়া হয় ১৯ এপ্রিল। গত রোববার, ২৬ দিনের বন্ধ শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলার কথা ছিল। কিন্তু, তাপপ্রবাহের কারণে ছুটির সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, ২৮ এপ্রিল থেকে স্কুল-কলেজ খোলার কথা।