ঢাকারবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কেএনএফকে নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
এপ্রিল ৬, ২০২৪ ১০:২৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কেএনএফের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। তাদের নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন,পার্শ্ববর্তী দেশে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছিল তাদের অস্ত্র কেএনএফের হাতে এসেছে।

শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেন এলাকায় ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে, শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল ১১টায় পার্বত্য জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে কেএনএফের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, আমরা এখনও কিছু কৌশল অবলম্বন করেছি, যেগুলো এখনও চলমান আছে। তারা গত তিন-চার দিনে বেশ কয়েকটি অপরাধ সংঘটিত করেছে। তারা একই সময়ে অন্য ব্যাংকে এবং পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়েছে। তাদের বেশকিছু গোষ্ঠী আছে, যারা একসঙ্গে হামলা চালায়। এমন অবস্থায় আজ থেকেই সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হবে।

খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসীরা ১০ থেকে ১২ জন ছিল। তাদের হাতে অস্ত্র ছিল, সবই লুণ্ঠিত। অপহরণের আগে তারা ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে এক কোটি টাকা চায়। তাহলে তাকে ছেড়ে দেবে বলে জানায়। তারা ভল্টের চাবি চায়। কিন্তু ম্যানেজার অত্যন্ত সাহসী; তিনি কৌশলে সব এড়িয়ে যান।

খন্দকার আল মঈন জানান, অপহরণের পর বেথেল পাড়ার পাশ দিয়ে ব্যাংক ম্যানেজারকে হাঁটিয়ে গহীন পাহাড়ে নিয়ে যায়। এরপর রাত ৩টার দিকে তারা ব্যাংক ম্যানেজারকে খাবার হিসেবে নুডলস দেয়। কখনও কখনেও চোখ বাঁধা হয়েছে, আবার খুলে দেওয়া হয়েছে। তারা দুইবার খাবার সরবরাহ করেছে, মারধরও করেছে।

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের পরই তাকে উদ্ধারে আমরা মাঠে নামি। আমরা বেশকিছু কৌশল অবলম্বন করেছি। আমরা স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের সহযোগিতা নিয়েছি, যারা পার্বত্য অঞ্চলকে শান্ত রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা আমাদের সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য সংস্থা যারা আছে সবার সহযোগিতা নিয়েছি। এর মধ্যে গতকাল একটা কৌশল আমাদের কাজে এসেছে। এরপর তারা নিজেদের মোটরসাইকেলের মাঝে বসিয়ে একটি স্থানে ম্যানেজারকে রেখে গেছে। কিন্তু কৌশলগত কারণে সেই জায়গার নাম বলতে চাই না।

সন্ত্রাসীরা ব্যাংক ম্যানেজারের ল্যাপটপ নিয়ে সাইবার হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে বলেও ব্রিফিংয়ে দাবি করেন খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, ব্যাংকে হামলার পর তারা ম্যানেজারের ল্যাপটপ নিয়ে গিয়েছিল। তারা ল্যাপটপ খুলে চেষ্টা করেছিল সাইবার হামলা চালানোর। কিন্তু ম্যানেজারের কৌশলের কারণে তারা সেটা পারেনি।