ছাত্রলীগ বলছে, ২৯ মার্চ ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বীর আবাসিক হলের বরাদ্দকৃত সিট বাতিল ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা-গণতন্ত্রকামী মানুষ ও ছাত্রসমাজ চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার (৩১ মার্চ) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিবাদী সমাবেশের ডাক দিয়েছে ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ বুয়েট প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে একটি অন্যায্য, অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থী ও সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নৈতিক স্খলনজনিত শিক্ষাবিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
বুয়েট প্রশাসন ইমতিয়াজ হোসেনের বরাদ্দকৃত সিট বাতিলের মাধ্যমে তার সংগঠন করার সাংবিধানিক অধিকার (অনুচ্ছেদ ৩৮) প্রয়োগ করতে বাধা সৃষ্টি করেছে। এটি একইসাথে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭ (আইনের দৃষ্টিতে সমতা), অনুচ্ছেদ ৩১ (আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার), অনুচ্ছেদ ৩২(জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতায় অধিকার-রক্ষণ), অনুচ্ছেদ ৩৬(চলাফেরার স্বাধীনতা), অনুচ্ছেদ ৩৭(সমাবেশের স্বাধীনতা) ও অনুচ্ছেদ ৩৯(চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা ও বাক-স্বাধীনতা) এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
ছাত্রলীগ আরও জানায়, সাম্প্রতিক বছরে বুয়েটের একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর অনাকাঙ্ক্ষিত, দুঃখজনক ও মর্মান্তিক মৃত্যু এদেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয়কে গভীরভাবে ছুঁয়ে গেছে, ব্যথিত করেছে। এই ঘটনায় জড়িতদের দেশের প্রচলিত আইনে বিচার সম্পন্ন করা হয়েছে। এদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বহু বছর ধরে সন্ত্রাসজনিত কারণে বহু মেধাবী শিক্ষার্থীর প্রাণ অকালে ঝরে গেছে। একইসাথে এদেশের মহান স্বাধীনতা, ভাষা ও ভোটের অধিকার, গণতন্ত্র ও মুক্তির সংগ্রামে এদেশের বহু শিক্ষার্থী অকাতরে তাদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছে, অনেকের প্রাণ হরণ করা হয়েছে।
এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ১৭ হাজার নেতাকর্মী জীবন উৎসর্গ করেছে, স্বাধীনতা উত্তর সময়ে গণতন্ত্র ও শিক্ষার অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতাকর্মীর প্রাণ কেড়ে নেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে ছাত্রলীগ।
গত বুধবার মধ্যরাতে বুয়েটে ছাত্রলীগের প্রবেশের ঘটনায় ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বীকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও ছাত্রকল্যাণ পরিদফতরের পরিচালকের (ডিএসডব্লিউ) পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন করে শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো ক্যাম্পাসে সকাল ৭টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন কয়েকশ’ শিক্ষার্থী৷