বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়ায় ভারত যতটা না ক্ষুব্ধ এর চেয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বেশি ক্ষিপ্ত বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাইর পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। এটা ভালো লক্ষণ নয় বলে মনে করেন তিনি।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর পল্টনের একটি রেস্টুরেন্টে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ইসলামী শ্রমনীতি কল্যাণমুখি অর্থনীতি ও শ্রমিকবান্ধব রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় মাহে রমজানের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতের সমালোচনা করে চরমোনাইর পীর বলেন, ‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। বাংলাদেশের সীমান্ত ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। দেশ হয়তো স্বাধীন আছে, ধীরে ধীরে ভারতের আগ্রাসনের কারণে দেশ পরাধীন হয়ে ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হওয়ার অবস্থা তৈরি হচ্ছে। বিএসএফ প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা করছে। তার প্রতিবাদ না করে সরকারের শীর্ষ নেতারা ভারত বন্দনায় ব্যস্ত। ঢাকার অনুষ্ঠানে ভারতীয় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয়, স্বররাষ্ট্র মন্ত্রীর উপস্থিতিতে। বিরোধী দল ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। এতে ভারত যতটুক না ক্ষিপ্ত, তার চেয়ে সরকার দলীয় লোকজন বেশি ক্ষিপ্ত। এটা ভালো লক্ষণ নয়।’
ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, ‘বাংলাদেশে দুর্নীতি এত পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে, যে যদি দুর্নীতি বন্ধ হয় তাহলে এক বছরেই কয়েকটা পদ্মা সেতু তৈরি করা সম্ভব। শাসক গোষ্ঠীর উন্নয়নের বুলি মিথ্যায় পর্যবসিত হয়েছে। উন্নয়নের জোয়ারে দেশ ভাসলেও সারাদেশে অসংখ্য মানুষ খাবারের কষ্ট পাচ্ছে। শ্রমিকরা খাবারের কষ্ট পাচ্ছে। উন্নয়নের যে সব কথা শোনা যায় তা নির্দিষ্ট লোকজনের উপকারে কাজে আসছে। সাধারণ মানুষের উপকার হচ্ছে না।’
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতী মোস্তফা কামালের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম।
আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক আহমদ আবদুল কাইয়ুম, কেন্দ্রীয় ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মুফতী এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন, ছাত্রনেতা নুরুল বশর আজিজী, সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক এএএম ফয়েজ হোসেন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন মিন্টু, নির্মাণ শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ওসমান গণী, শ্রমিক মজলিসের সভাপতি প্রভাষক আব্দুল করীম, জাতীয় শ্রমিক পার্টির সভাপতি মো. বাচ্চু মিয়া, গণঅধিকার শ্রমিক পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, গণমুক্তি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল মোমেন, সহ-সভাপতি হাফেজ মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, ওয়ায়েজ হোসেন ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচএম রফিকুল ইসলাম, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, শাহাদাত হোসাইন প্রমুখ।