সরকার পতনে দেশের সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন বিএনপি নেতারা। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর লেডিস ক্লাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্মানে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে এ আহবান জানান তারা। বলেন, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সম্মানে বিএনপি এ ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। এতে অংশ নেন জামায়াতে ইসলামির আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ সমমনা দলগুলোর নেতারা। এতদিন বিএনপির কোনো কর্মসূচিতে দেখা না গেলেও ইফতারে অনুষ্ঠানে যোগ দেন জামায়াতের আমির। এতে বিভেদ ভুলে সমস্ত শক্তি উজার করে আন্দোলনে থাকার কথা বলেন বিভিন্ন দলের নেতারা।
ইফতারে জামায়াতে ইসলামির আমির ছাড়াও দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম অংশ নেন। গত বছরের ইফতারে জামায়াতকে আমন্ত্রণ জানায়নি বিএনপি।
ইফতারে অন্যান্য দলের মধ্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, চরমোনাইয়ের পীরের রাজনৈতিক উপদেষ্টা আশরাফ আলী আকন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণফোরাম একাংশের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরীসহ জেএসডি, এবি পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, জাগপা, গণ অধিকার পরিষদ, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, বাংলাদেশ জাতীয় দল, এলডিপি, লেবার পার্টি, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর), কল্যাণ পার্টির নেতারা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, কোনো জালিমের রক্তচক্ষুর কাছে মাথা নত করবো না। যতদিন পর্যন্ত মানুষ তার ন্যায্য অধিকার ফিরে না পাবে, ততদিন পর্যন্ত নিজেদের সমস্ত শক্তি উজার করে আন্দোলন চালিয়ে যাব।
এ সময় সরকারের পতন ঘটিয়ে অর্থনৈতিক মুক্তির আন্দোলনে দেশের নিবন্ধিত ৬৩ রাজনৈতিক দলকে এক ছাতার নিতে আসার আহবান বিএনপি নেতারা। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ। আমাদের আন্দোলনের একটিই আদর্শ ও উদ্দেশ্য। সেটি হচ্ছে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। তারার দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি ও সকলের অধিকার নিশ্চিত করতে চান বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে বিএনপির ৩১ দফার আন্দোলন নামতে সমমনা সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সকল দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে। এই আন্দোলনের মাধ্যমেই চূড়ান্ত একদফার আন্দোলনের বিজয় অর্জন সম্ভব হবে।