বুধবার (২৭ মার্চ) উত্তরা-১২নং সেক্টর কল্যাণ সমিতি মাঠে ঈদ উপহার (খাদ্য ও বস্ত্র) বিতরণের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় যেই ভারত আমাদের শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে, আমাদের অস্ত্র দিয়ে, প্রশিক্ষণ দিয়ে আমাদের সাহায্য করেছে তাদের এখন বিরুদ্ধাচারণ করছে বিএনপি। নিশ্চয়ই অন্য কোনো বিদেশি শক্তির উসকানি এবং প্রতিশ্রুতিতে এই অবস্থান নিয়েছে তারা। লাভ হবে না, বেঈমানদের কেউই বিশ্বাস করে না, ইতিহাসও ক্ষমা করে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সৃষ্টি হয়েছিল জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নাড়ির সম্পর্ক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর মুজিবুর রহমান দীর্ঘ ২৪ বছর জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে এদেশের মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য। এ কারণে দেশের জনগণকে আমরা সবসময় সঙ্গে পাই।’
এদেশের জনগণ চরম বিপদের সময় আওয়ামী লীগের পাশে ছিল এবং থেকে আসছে উল্লেখ করে পরশ বলেন, ‘২০০১ সালের পর শত অত্যাচার, নির্যাতন ও হত্যার রাজনীতি করেও ওরা নৌকার ভোটারদের টলাতে পারেনি। এই সংগঠনের ভিত্তি অনেক শক্ত। জনগণ থাকে সেই সকল রাজনৈতিক দলের সাথে যারা দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে, দেশকে গড়ার স্বপ্ন দেখায়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়ে তা বাস্তবায়নের যোগ্যতা রাখেন দাবি করে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘শেখ হাসিনা একনাগাড়ে চারবার রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করছেন। এই যোগ্যতা অর্জন করতে হলে মানুষকে ভালবাসতে হয়, দেশের মানুষের প্রতি সহমর্মী হতে হয়, দুর্নীতি পরিহার করতে হয়। এই যোগ্যতা অর্জন করতে হলে রাষ্ট্র পরিচালনার দক্ষতা প্রদর্শন করতে হয়। দক্ষতা নাই বলে নেতিবাচক রাজনীতির দিকে বিএনপি ধাবমান। তাই ওরা দেশকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দফতর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক অ্যাডভোকেট হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, উপ-দফতর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকতসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।