শরিয়তের বিধান হল, যে ব্যক্তি রমজান মাস পেল কিন্তু তিনি সিয়াম পালনে সক্ষম নন– অতিশয় বৃদ্ধ হওয়ার কারণে অথবা এমন অসুস্থ হওয়ার কারণে যার আরোগ্য লাভের আশা করা যায় না, তার উপর রোজা ফরজ নয়।
তিনি রোজা ভঙ্গ করতে পারবেন এবং প্রতিদিনের বদলে একজন মিসকিনকে সাদাকায়ে ফিতরের সমান খাবার দিবেন অথবা সকাল-সন্ধ্যা পেট ভরে তাকে খানা খাওয়াবেন।
রোজার রয়েছে অসংখ্য অগণিত ফজিলত। রোজা পূর্বের উম্মতদের উপরও ফরজ ছিলো। আমাদের উপর ফরজ করে আল্লাহ কোরআনে ঘোষণা করেন, হে ঈমাদাররা! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হলো, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতগণের ওপর, যেন তোমরা তাকওয়া (আল্লাহ ভীতি) অর্জন করতে পারো’ (সুরা: বাকারা-১৮৩)।
অন্য এক আয়াতে বলেন, রমজান মাস এমন মাস, যার ভেতর কুরআন নাজিল করা হয়েছে, যা মানুষের পথপ্রদর্শক এবং সত্য পথ প্রদর্শনের ও সত্য-মিথ্যার প্রভেদ করার স্পষ্ট নিদর্শন। তোমাদের মধ্যে যে রমজান মাস পায়, সে যেন তাতে রোজা রাখে। (সুরা: বাকারা-১৮৫)।
হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যখন তোমরা (রমজানের) চাঁদ দেখবে, তখন থেকে রোজা রাখবে আর যখন (শাওয়ালের) চাঁদ দেখবে, তখন থেকে রোজা বন্ধ করবে। আকাশ যদি মেঘাচ্ছন্ন থাকে তবে ত্রিশ দিন রোজা রাখবে। (বুখারি ১৯০৯, মুসলিম ১০৮০)
আল্লাহ তাআলা বলেন, রোজার প্রতিদান আমি নিজেই দেবো, কেননা তা একমাত্র আমার জন্য। আমি নিজেই এর বিনিময় প্রদান করব। বান্দা একমাত্র আমার জন্য নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। পানাহার পরিত্যাগ করেছে। (মুসলিম ১১৫১, মুসনাদে আহমদ ৯৭১৪, সুনানে ইবনে মাজাহ ১৬৩৮)