রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভ্লাদিমির পুতিন রেকর্ড পরিমাণ ভোটে (প্রায় ৮৮ শতাংশ) জিতেছেন। স্থানীয় সময় রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যায়, ১৯৯৯ সালে ক্ষমতায় আসা পুতিন আবার নতুন ছয় বছরের মেয়াদে ক্ষমতায় আসছেন। এর মাধ্যমে পুতিন জোসেফ স্ট্যালিনকে ছাড়িয়ে যাবেন এবং ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদি নেতা হবেন তিনি।
ফলাফলে দেখা যায়, পুতিন ৮৭ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। রাশিয়ার সোভিয়েত-পরবর্তী ইতিহাসে সর্বোচ্চ ফলাফল পেয়েছেন তিনি।
রাশিয়ান পাবলিক ওপিনিয়ন রিসার্চ সেন্টার (ভিসিআইওএম) জানিয়েছে, পুতিন শতকরা ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
এদিকে রয়টার্সের সাংবাদিকরা মস্কো, সেন্ট পিটার্সবার্গ এবং ইয়েকাটেরিনবার্গের ভোটকেন্দ্রে দুপুরে ভোটারদের ব্যাপক সমাগম দেখেছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এর আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া ও ইউক্রেনে দখলকৃত অঞ্চলে তিন দিনের ভোট শুরু হয়। রোববার তিন দিনব্যাপী ভোট গ্রহণ শেষ হয়।
প্রকৃতপক্ষে, কোনো যথার্থ বিরোধী প্রার্থীকে নির্বাচনে দাঁড়াতেই দেওয়া হয়নি। সদ্য প্রয়াত আলেক্সেই নাভালনির সমর্থকরাই যা কিছু প্রতীকী প্রতিবাদ করেছেন। তাদের ‘নুন অ্যাগেইনস্ট পুতিন’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মস্কো ও সেন্ট পিটার্সবার্গের মতো শহর এবং বিদেশের অনেক দূতাবাসের বাইরে ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে বটে, কিন্তু ফলাফলের ওপর এর কোনো প্রভাব নেই।
অন্তত ৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানাচ্ছে পর্যবেক্ষক সংস্থা ওভিডি-ইনফো। শুক্রবার কিছু ভোটকেন্দ্রে বিক্ষিপ্ত হামলার ঘটনা ঘটেছিল। তবে পরের দুদিন তার আর পুনরাবৃত্তি হয়নি।
পশ্চিমা দেশগুলো এক সুরে বলছে, ভোট অবাধ বা সুষ্ঠু কোনোটিই হয়নি। জার্মানি এটিকে ‘সাজানো নির্বাচন’ বলে অভিহিত করেছে। বলছে, রাশিয়ার কর্তৃত্ববাদী শাসন সেন্সরশিপ, দমন ও সহিংসতার ওপর ভর করে টিকে আছে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড ক্যামেরন ‘ইউক্রেনের ভূখণ্ডে অবৈধ নির্বাচন’ আয়োজনের নিন্দা করেছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘এটি স্বৈরশাসককে ক্ষমতায় রাখার নির্বাচন।’
নাভালনির ঘনিষ্ঠ মিত্র লিওনিড ভলকভের মন্তব্য, ‘পুতিনের প্রাপ্ত ভোটের হারের সঙ্গে বাস্তবতার সামান্যতম সম্পর্কও নেই।’