ঢাকারবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মুক্তিযোদ্ধার জমিতে জোর করে ঘর তুলছে খলিল শেখ

admin
মার্চ ১৭, ২০২৪ ৫:২৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ফরিদপুরের মধুখালীতে দিন-দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধার জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছে খলিল শেখ নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি।

এঘটনায় ওই মুক্তিযোদ্ধার ছেলে ইউএনও ও ওসি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রকাশ্যে মুক্তিযোদ্ধার জমি দখলের এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। দ্রুতই স্থাপনা অপসারণ করে মুক্তিযোদ্ধার জমি দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

মধুখালী উপজেলার কামারখালী বাজারের বাসিন্দা মৃত মুক্তিযোদ্ধা দ্বিজেন্দ্রনাথ সাহা। তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। ২০০২ সালে মারা যান তিনি। মৃত্যুর আগে তার নিজ নামে কামারখালী বাজারে ১৫ শতাংশ জমি রেখে যান। ওই জমিটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল।

কিছুদিন আগে তার স্ত্রীও মারা যান। একমাত্র সন্তান সোলার সাহা চাকরির কারণে চট্টগ্রামে থাকেন। শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে হঠাৎ করেই আড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় প্রভাবশালী খলিল শেখ ও তার লোকজন ওই জায়গায় টিনশেড ঘর তোলেন এবং বেড়া দিয়ে দখল করে নেন।

মুক্তিযোদ্ধার ছেলে সোলার সাহা বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে হুমকি ধামকি দিয়ে ওই স্থান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সোলার সাহা মধুখালী থানায় জানালে পুলিশ এসে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।

মুক্তিযোদ্ধাপুত্র সোলার সাহা বলেন, ‘আমি চাকরির সুবাদে চট্টগ্রামে থাকি। শুক্রবার সকালে বাড়িতে বেড়াতে আসি। কিছু সময় পরই সংবাদ পাই আমাদের জায়গায় খলিল শেখের নেতৃত্বে কয়েশ শত লোক এসে জায়গা দখল করে টিনশেড ঘর তুলছে। দ্রুত ওই স্থানে গিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করতে গেলে আমাকে হুমকি ধামকি দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে থানায় ফোন দিলে পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করে। পরবর্তীতে পুলিশ চলে গেলে পুনরায় তারা আবার কাজ শুরু করে। আবার পুলিশ এলে তারা চলে যায়। এঘটনায় আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।’

মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিরাজ হোসেন জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে মুক্তিযোদ্ধাপুত্র সোলার সাহা অভিযোগ দিয়েছেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জমি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে খলিল শেখ বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার কোনো জায়গা আমি দখল করিনি। আমার ক্রয়কৃত জায়গায়ই আমি স্থাপনা নির্মাণ করেছি।’

তথ্যসূত্রঃ সময় নিউজ, ভুক্তভোগী ও স্থানীয় জনগণ