নরেন্দ্র মোদির আমলে ভারতে বেকারত্বের হার বিগত ৪০ বছরের মধ্যে ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এসময় বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ভারতের তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার পাকিস্তানের প্রায় দ্বিগুণ এবং বাংলাদেশ, ভুটানের মতো দেশের চেয়েও বেশি।
রোববার (৩ মার্চ) মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে ‘ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রা’য় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন রাহুল।
আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠনের (আইএলও) এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, ভারতে তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার এখন ২৩ শতাংশ। মোদির জিএসটি এবং নোটবন্দি নীতির কারণেই ভারতে ক্ষুদ্র ব্যবসা কার্যত শেষ হয়ে গেছে।
আইএলও’র ২০২২ সালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের নিরিখে গোটা বিশ্বে যে ৬টি দেশ একেবারে পেছনের সারিতে রয়েছে, তার মধ্যে ভারত অন্যতম। এই ৬টি দেশের মধ্যে ভারতের সঙ্গে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া, আর্মেনিয়া, লেবানন, ইয়েমেন ও ইরান।
ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে এক্স-এ পোস্ট করেছিলেন বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু। রাহুল সেই পরিসংখ্যানই তুলে ধরেছেন। ২০২২ সালের ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের বেকারত্বের হার ১১ দশমিক ৩ শতাংশ এবং বাংলাদেশে বেকারত্বের হার ১২ দশমিক ৯ শতাংশ।
কংগ্রেসের এ নেতার অভিযোগ, ২০১৪ সালে মোদি সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, তখন ভারতে তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার ছিল ২১ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৬ শতাংশ। ২০১৯ সালে কিছুটা কমলেও করোনার বছর ২০২০ সালে বেকারত্বের হার ৩০ শতাংশ পার হয়ে গিয়েছিল ভারতে। এখন কিছুটা কমে ২৩ শতাংশে। এরপরেও মোদি বলেন যে, তিনি গরিবদের জন্য কাজ করছেন।