স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যতটা কনসার্ন ততটা আর কেউ সম্ভবত নেই। তিনি দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি করতে অনেক কিছুই চিন্তা করনে। আমাকে একজন ডাক্তার থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বানিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও একজন পেশাদার ডাক্তারকেই দিলেন সরকারপ্রধান। সুতরাং তার মেসেজ একদম পরিষ্কার।
সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে যোগ দেয়া ডা. রোকেয়া সুলতানার সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, দেশের স্বাস্থ্যখাতে দৃশ্যমান উন্নতি করতে চান প্রধানমন্ত্রী। এক্ষেত্রে আমি ও প্রতিমন্ত্রী তার প্রত্যাশাটা বুঝি ও জানি। আমরা সেভাবেই কাজ এগিয়ে নিতে চাই। যাতে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশা পূরণ হয়।
মন্ত্রণালয়ে সদ্য যোগ দেয়া স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, আমি ছাত্ররাজনীতি থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে রাজনীতি করেছি কোনও পদ- পদবী পাওয়ার আশায় নয়। প্রধানমন্ত্রী আমাকে এত বড় সম্মান দিয়েছেন দেশের মানুষের সেবা করার জন্য। ৩৩ বছর আমি চিকিৎসক হিসেবে সেবা দিচ্ছি। স্বাস্থ্যখাতের মাঠ পর্যায় থেকে ওপর পর্যন্ত আমার জানা আছে। চাকরিজীবনে বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ১৯৮০ সাল থেকে কাজ করেছি। আশা করছি, আমরা একসঙ্গে এবার স্বাস্থ্যখাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণে কাজ করতে পারবো।
এ সভার আগে সকাল সাড়ে ১১টায় একই স্থানে আগামী ৮ মার্চ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত বিডিএস (বাংলাদেশ ডেন্টাল সার্জন) ভর্তি পরীক্ষা সুচারুরূপে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সভা হয়। সেখানেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা সামন্ত লাল সেন এবং স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বক্তব্য রাখেন।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপ সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, নার্সিং অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট, ডিজিডিএসহ স্বাস্থ্যখাতের সব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব বক্তব্য রাখেন।