ঢাকাশুক্রবার, ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পাকিস্তানের নির্বাচনে অনিয়মের তদন্ত দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪ ১:১৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নির্বাচনে অনিয়মের আইনগত ব্যবস্থায় নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এমন দাবি জানান। নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা (পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ) নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য কি ধরনের ‘বডি’ প্রস্তাব করেছে সে বিষয়ে জানি না। তিনি আরও বলেন, ঠিক এই মুহূর্তে প্রথম যে কাজ তা হলো পাকিস্তানি আইনি ব্যবস্থা। তার মাধ্যমে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। আমি মনে করি এই পদক্ষেপ নেয়া উচিত। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।

তিনি আরও জানান, অন্য বিকল্পগুলোও দেখতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। ৮ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে প্রস্তাবিত তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের নির্বাচনের ফল মেনে না নিতে বাইডেন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কয়েকজন আইনপ্রণেতা। মিলার বলেন, যদি বাড়তি কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয় তাতে আমরা খুশি হবো। অবশ্যই বিশ্বের যেকোনো স্থানে সমাবেশের স্বাধীনতা দেখতে চাই আমরা।

নির্বাচনে অংশ নেয়ার কারণে পাকিস্তানি জনগণকে তিনি অভিনন্দন জানিয়েছেন।

অভিনন্দন জানিয়েছেন নির্বাচনী কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের। গণতান্ত্রিক ও নির্বাচনী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমুন্নত ও সুরক্ষিত রাখতে তাদের কাজের জন্য অভিনন্দন জানান মিলার।

নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রকাশ্যে আমরা উদ্বেগ জানিয়েছি। ব্যক্তিগভাবে উদ্বেগ জানিয়েছি। আমরা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যেসব অনিয়ম দেখেছি তা নিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, বৃটেন ও অন্য দেশগুলোর সঙ্গে উদ্বেগ জানিয়েছি। তিনি বলেন, পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্র একটি বার্তা দিয়েছে। তা হলো নির্বাচনে জনগণের যে ইচ্ছা তার প্রতি সরকার যেন সম্মান দেখায়। তিনি বলেন, আমরা জোর দিয়ে বলি আইনের শাসন, সংবিধানের প্রতি সম্মান, মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, গতিশীল নাগরিক সমাজের প্রতি সম্মান দেখানো হচ্ছে এসব দেখতে চাই। আমরা এসবে বিশ্বাস করি। এ সময় তিনি গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার প্রতি ওয়াশিংটনের প্রতিশ্রুতির কথা জোর দিয়ে তুলে ধরেন। যুক্তরাষ্ট্র স্বীকার করেছে, নির্বাচনের সময় ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন সংযোগ বন্ধ রাখায় এই প্রক্রিয়ার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। মিলার বলেন, রাজনৈতিক ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সহিংসতা, ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন সার্ভিসে বিধিনিষেধের বিষয়ে আমরা নিন্দা জানাই। কারণ, এসব বিষয় নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। নির্বাচনে হস্তক্ষেপ এবং ভোট জালিয়াতির যেসব বিষয় আমরা দেখতে পেয়েছি সে বিষয়ে পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ তদন্ত নিশ্চিত হওয়া উচিত। সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি মনিটরিং করবে যুক্তরাষ্ট্র।