কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, সিন্ডিকেট বলতে কিছু থাকলে তা কীভাবে ধ্বংস করা যায়, তার জন্য প্রক্রিয়া কী, সেটা উদ্ভাবন করে ইতোমধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি। এ ছাড়া ঐক্যবদ্ধভাবে যাতে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেজন্যও আমরা কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, হাটবাজারে যারা মজুতদারি করেন তাদের অনুরোধ করবো, তারা যেন এই হারাম ব্যবসা না করেন। আল্লাহর রসুলও বলেছেন, তেজারতি করো কিন্তু কেউ হারাম তেজারতি করবে না। আমি অনুরোধ করি রমজান মাসে যাতে আমরা সুন্দরভাবে সিয়াম সাধনা করতে পারি সেজন্য সবাই সহযোগিতা করবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালায় যোগ দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন।
এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ে সচিব ওয়াহিদা আক্তার, ব্রি’র মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবীর, ইরি’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি হুমনাথ ভান্ডারি, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচাক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মন্ত্রী ব্রি উদ্ভাবিত প্রযুক্তি, ধানের জাত ও যন্ত্রপাতির স্টল পরিদর্শন করেন।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী উপস্থিত কৃষি সচিবকে ইঙ্গিত করে বলেন, উনি (ওয়াহিদা আক্তার) একজন কৃষিবিদ। উনারা ঘর চালান, পরিবার চালান। অতএব বুঝতেই পারছেন, পণ্যের দাম বাড়লে উনাদেরও মাথা গরম থাকে।
মন্ত্রী ব্রি’র বিজ্ঞানীদের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, বিজ্ঞানীরা আরও বেশি করে গবেষণা করেন যাতে উৎপাদন আরও বেশি হয়। আমাদের বিজ্ঞানীদের যে মেধা আছে, তারা আরও এগিয়ে যাবেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের অর্থনীতির শতকরা ৮০ ভাগ নির্ভর করে কৃষির ওপর। কৃষিকে সেভাবে সাজিয়ে তুলতে পারলে আমাদের অভাব থাকবে না। দারিদ্র বিমোচন হবে। যে জাতি এগিয়েছে তারা গবেষণার মাধ্যমেই এগিয়েছে। আমাদের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এখানে আমাদের কৃষি বিজ্ঞানীরা গবেষণার কাজ করে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও গবেষণায় জোর দিতে বলেছেন।
নিজেকে চাষি পরিচয় দিয়ে মন্ত্রী বলেন, চাষাবাদ করলে যে ফল পাওয়া যায় বা উৎপাদন পাওয়া যায় এর চেয়ে বেশি আনন্দ কিছু হতে পারে না। আমাদের বিজ্ঞানীরা দিন দিন যা আবিষ্কার করে যাচ্ছেন তা থেকে বোঝা যায় আমাদের বিজ্ঞানীদের কাছে এখন কোনো আবিষ্কারই অসম্ভব নয়।
কৃষিমন্ত্রী পরে ব্রি’র বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালায় যোগ দেন। এর আগে মন্ত্রী ব্রি’তে পৌঁছালে ব্রি’র মহাপরিচালক ও অন্য কর্মকর্তারা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।