অনেক বড় প্রত্যাশা নিয়ে ইউক্রেনের ফুটবলার মিকাইলো মুদ্রিককে দলে টেনেছিল চেলসি। শুধু মুদ্রিকই না, বড় প্রজেক্টের অংশ হিসেবে বিপুল অর্থ দিয়ে অনেক খেলোয়াড়কেই নিজেদের করে নিয়েছে লন্ডনের ক্লাবটি। বিশ্বকাপজেতা আর্জেন্টাইন এঞ্জো ফার্নান্দেজ, বেলজিয়ামের রোমিও লাভিয়া কিংবা কলম্বিয়ার মইসেস কেইসেডোকে তারা দলে টেনেছিল বড় অঙ্কের ট্রান্সফার ফি দিয়ে।
কিন্তু মাঠের খেলায় ভক্তদের প্রতিনিয়ত হতাশ করছে লন্ডনের এই ক্লাব। এই মৌসুমে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় নেই তারা। এফএ কাপের পঞ্চম রাউন্ডে আছে। গিয়েছে লিগ কাপের ফাইনালেও। তবে মূল আসর প্রিমিয়ার লিগে একের পর এক হার উপহার দিয়েছে তারা।
লিভারপুলের বিপক্ষে গত সপ্তাহেই ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হয় চেলসি। এরপরেই ক্ষুব্ধ এক সমর্থক ইন্সটাগ্রামে বার্তা পাঠান মিকাইলো মুদ্রিকের কাছে। যেখানে ক্ষুব্ধ এই সমর্থক লিখেছিলেন, ‘কী যাচ্ছেতাই ফুটবল খেলেছ তুমি?’ তুমি কি ভুলে গিয়েছ কিভাবে ফুটবল খেলতে হয়?’
এরপরেই ক্ষুব্ধ সেই সমর্থক মুদ্রিককে ওয়ান অন ওয়ান (একজন ডিফেন্ডারের সঙ্গে ড্রিবলিং) অনুশীলনের পরামর্শ দিয়ে বলেন, যখনই তুমি মাঠে থাকো, মনে হয় আমরা ১০জন নিয়ে খেলছি।’
সমর্থকের কাছ থেকে এমন সব মন্তব্য মোটেই সহজভাবে নেননি মুদ্রিক। পাল্টা জবাবও দিয়ে ফেলেছেন। সেই সমর্থককেই ১০ হাজার পাউন্ডে ওয়ান অন ওয়ানে আমন্ত্রণ জানান তিনি। বিপরীতে সেই ভক্ত বলেন, ‘ভাই! এই পর্যায়ে এসে আমিই তোমাকে প্রতিটি গোল করার জন্য পয়সা দিবো।’
সেই স্ক্রিনশট সামনে এনে চেলসি ক্লাবের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে জবাব চেয়েছেন এই ভক্ত। এনিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হলেও আপাতত মুদ্রিক, চেলসি কিংবা ম্যানেজার মরিসিও পচেত্তিনো কেউই মুখ খোলেননি। চেলসির পরবর্তী ম্যাচ এফএ কাপে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ অ্যাস্টন ভিলা। এরপরেই ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগে মাঠে নামতে হবে তাদের। ২৩ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত তারা আছে প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলের ১১তম স্থানে।