বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে বেড়েই চলেছে উত্তেজনা। এরই জেরে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তবর্তী বসবাসরতদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন এ নির্দেশ দেন।
স্থানীয়রা জানান, সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। এরইমধ্যে সীমান্তবর্তী ক্যাম্প দখলে নিয়েছেন বিদ্রোহীরা। বর্তমানে ঢেকুবনিয়ে ক্যাম্প দখলে নিতে উভয় পক্ষের মধ্যে লড়াই চলছে।
তাদের এ সংঘাতে ব্যবহার করা গুলি ও মর্টারশেলের গোলা সীমান্ত অতিক্রম করে এসে পড়ছে বাংলাদেশে। এসব গোলার আঘাতে গতকাল সোমবার এক বাংলাদেশি নারীসহ দুজন নিহত ও আহত হয়েছেন অন্তত তিনজন।
এ অবস্থায় সীমান্তে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৭টি পরিবারের ১২৭ জন আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে এই পর্যন্ত ২৪০ পরিবারের সদস্যরা আশ্রয় নিয়েছেন।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান পরিস্থিতির কারণে সীমান্তের অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী সকল পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সীমান্তবর্তী স্কুলগুলো বন্ধ ও সবাইকে আতঙ্কিত না হয়ে সজাগ থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।