ঢাকাশনিবার, ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

স্বামী-স্ত্রীকে বেঁধে ডাকাতি, ৫০ লাখ টাকার মালামাল লুট

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪ ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সিলেটের শাহপরাণ থানাধীন বালুচর এলাকায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (০২ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে উত্তর বালুচরের আল ইসলাহ ৯৪ নম্বর বাসায় এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

ডাকাতরা বাসার পেছনের গ্রিল কেটে রান্নাঘর দিয়ে ভেতরে ঢুকে প্রবাসী স্বামী-স্ত্রীসহ তিন জনকে বেঁধে একটি কক্ষে আটকে রেখে মারপিট করে। সেইসঙ্গে বাসা থেকে প্রায় ৪০ ভরি স্বর্ণ, পাউন্ড, নগদ টাকা, মূল্যবান জিনিসপত্রসহ অন্তত ৫০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।

একই দিন ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হন ভুক্তভোগী আইয়ুবুর রহমান (৬৫) ও আম্বিয়া বেগম (৬০)।

এদিকে, ডাকাতির খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে শাহপরাণ থানা পুলিশসহ মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার ভোরে লন্ডনে যাওয়ার কথা ছিল আইয়ুবুর রহমান ও আম্বিয়া বেগমের। ভোর ৪টার দিকে বাসার গ্রিল কেটে রান্নাঘর দিয়ে ভেতরে ঢুকে ৮-১০ জনের মুখোশধারী একদল ডাকাত। তাদের সবার হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, ছুরি ও চাপাতি ছিল। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এই দম্পতিসহ তিন জনকে একটি কক্ষে বেঁধে বেধড়ক মারপিট করে ডাকাতরা। তিন ডাকাত অস্ত্র হাতে তাদের পাহারায় ছিল। অন্যরা বাসার আলমারির লকার ভেঙে স্বর্ণ, পাউন্ড, নগদ টাকা ও মূল্যবান ইলেকট্রনিকস সামগ্রী ব্যাগভর্তি করে নিয়ে যায়। ফজরের নামাজের জন্য বাসার কেয়ারটেকার ডাকাডাকি করলে একপর্যায়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় দরজা খোলেন আইয়ুবুর রহমান। ডাকাতির খবর পেয়ে প্রবাসীর আত্মীস্বজনসহ শাহপরাণ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

আইয়ুবুর রহমানের এক আত্মীয় জানান, পুরো বাসায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো। সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করা হতো লন্ডন থেকে। ঘরে ঢুকে ডাকাতরা সেগুলো বন্ধ করে দেয়। পরে বাসা থেকে প্রায় ৪০ ভরি স্বর্ণ, পাউন্ড, নগদ টাকা, মূল্যবান ইলেকট্রনিকস সামগ্রীসহ অন্তত ৫০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতদের মারধরে আইয়ুবুর রহমান ও আম্বিয়া বেগম গুরুতর আহত হন। তাদের আহত অবস্থায় শুক্রবার ভোরে লন্ডনে পাঠানো হয়েছে।

মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানার ওসি হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, প্রবাসীর বাসায় ডাকাতির খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। সেইসঙ্গে ডাকাতির আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।