ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাঁশখালী উপজেলা শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত সংগঠন ডুসাব (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট এসোশিয়েশন) এর সদ্য কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বাঁশখালী শীলকুপ ইউনিয়ন থেকে আইন বিভাগের ছাত্র নির্ণয়ী দে’কে সভাপতি এবং পুইছড়ি ইউনিয়ন থেকে ফিন্যান্স বিভাগের ছাত্র আবুল হাছান সাঈদিকে সাধারণ সম্পাদক করে সদ্য সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সই করা প্যাডে উক্ত কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সিনিয়র জুনিয়র মিলে সর্বমোট ২৩ জন সদস্য উক্ত কমিটিতে স্থান পেয়েছে।
সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নির্ণয়ী দে, সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আরাফাত রিদুয়ান, শাহাদাতুল ইসলাম, দিলো আরা আক্তার ভাবনা, সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন আবুল হাছান সাঈদি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জিয়া মুহাম্মদ, মোহাম্মদ আরকানুল ইসলাম রূপক, আবদুল্লাহ আল নোমান, সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মুন্তাসির হোছাইন, মাসুম আবদুল্লাহ, আমিরুল ইসলাম, আবদুস সোবহান, দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন হাসানুল বান্না, উপ-দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ঈসমাইল হোছাইন, প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন আজিজুল হক, উপ-প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মো: মিনহাজ, ক্রীড়া সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ তোহা, উপ ক্রীড়া সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন রাকিবুল ইসলাম, সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ ফরহাদ, মোহাম্মদ ইউসুফ, সাইরাতুন নুর রাসনা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাঁশখালী উপজেলা শিক্ষার্থীদের একত্রীকরণ, প্রতিকূল পরিবেশে সাম্যক প্রচেষ্টায় নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্তকরণ এবং শিক্ষার্থীদের সর্বৈব বিপদসংকুল পরিবেশে সহায়ক ভুমিকা পালন করাই সংগঠনের মুল উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে সংগঠনটি ২০১৩ সাল থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। উপজেলা ভিত্তিক সংগঠন যখন ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ে সদর্পে বিচরণ করছিলো, বাঁশখালীর ছাত্রসমাজ তখন অপেক্ষাকৃত সিংহভাগ হয়েও ভুগেছিলো সংগঠনহীনতায়। শিক্ষার্থীদের ব্যগ্র মনের আকুল নিবেদন বুঝতে পেরে রিয়াজুদ্দিন আহমেদ সুমন, সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, এর প্রত্যক্ষযোগসাজশে সংগঠন বিনির্মানের ভুমিকায় অবতীর্ণ হন মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং জাকের হোসাইন। সংগঠনের যে রথ এই তিনজন মানুষের প্রত্যক্ষ অবদানে যাত্রা শুরু করেছিলো, সেই রথ এখনো শিক্ষার্থীবান্ধব বিভিন্ন কার্যাদির মাধ্যমে বহন করে চলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাঁশখালীর ছাত্রসমাজ।
এখন পর্যন্ত সংগঠনের প্রাপ্তি মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, অত্র সংগঠন ২৫ + ছাত্রের মাসিক বৃত্তির ব্যবস্থা করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েও আর্থিক অনটনে ভর্তি হতে না পারা ২১ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি সংগঠন নিজ দায়িত্বে সম্পন্ন করে অত্র শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত স্বপ্নের পথ সুগম করেছেন। শিক্ষার্থীদের জন্য চাঁদপুর লঞ্চ ট্রিপ, কক্সবাজার ডে লং বাস ট্রিপ, সিলেট কম্বো ট্রিপ সহ ছোটো পরিসরের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের উপাখ্যানও রচনা করেছেন। বাত্সরিক নবীনবরণ ও সান্ধ্যঅনুষ্ঠান, ঈদ পুনর্মিলনী এবং বিভিন্ন উত্সস বরণ অনুষ্ঠান ছিলো সংগঠনের ছাত্রদের জন্য নৈমত্তিক বিষয়।
সংগঠনের প্রাপ্তির খাতায় আপেক্ষিকতায় অনেককিছু যুক্ত হলেও অপরচুনিটি গ্যাপ বিবেচনায় এবং সংগঠনের সুদুরপ্রসারী মানস থেকে বর্তমান কমিটি ভিন্নতর এবং স্মার্ট বাংলাদেশে বিনির্মানে সহায়ক বিভিন্ন শিক্ষাসহায়ক প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রণী থাকবে। বর্তমান কমিটি শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়েবসাইট বিনির্মাণ, বাৎসরিক ম্যাগাজিন, বাঁশখালী জনতার জন্য সচেতনতামূলক বিভিন্ন সেমিনার, অসংগতির বিরুদ্ধে র্যালী এবং উপযোগিতা বিবেচনায় বিবদ ভূয়সী প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বদ্ধমূল দৃঢ থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।