মা হারালেন সিনেমার পর্দায় ‘মুজিব’ রূপকার আরিফিন শুভ। যে মা’কে নিয়ে গত প্রায় ৮টি বছর অনেকটা একা একাই যুদ্ধ করেছেন। চেষ্টা করেছেন অসুস্থ মায়ের পাশে সর্বোচ্চ থাকতে, ভালো রাখতে।
কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুভর মা খাইরুন নাহার ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
খবরটি নায়ক জায়েদ খান নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ফজরের নামাজের পর জানাজা শেষে রাজধানীর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
দাফন শেষে বৃহস্পতিবার সকালে আরিফিন শুভ বলেন, ‘২১ জানুয়ারি দুপুরে মা হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর থেকে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে মা জীবনের শেষ যুদ্ধটা করেছে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে সেটা শেষ হয়েছে ২৪ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে। বাদ ফজর ঢাকার কলোনি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও জামিউল উলুম মাদ্রাসা কমপ্লেক্সে জানাজা শেষে মাকে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগেও আপনারা সবাই আমার মায়ের জন্য দোয়া করেছেন এবারও আপনারা আমার মাকে দোয়ায় রাখবেন।’
প্রায় ৮ বছর ধরে শুভর ঢাকার বাসাতেই থাকতেন তার মা খাইরুন নাহার। ২০১৭ সাল থেকে সিজোফ্রেনিয়া রোগে ভুগছিলেন তিনি। এছাড়া, বার্ধক্যজনিক আরও নানান সমস্যা ছিলো। সোশ্যাল হ্যান্ডেলের সুবাদে শুভ ভক্তরা তার মায়ের সম্পর্কে ভালোই অবগত। প্রচলিত আছে, এমন মা অন্তপ্রাণ নায়ক সচরাচর দেখা যায় না।
২০০৫ সালে মডেলিং দিয়ে শোবিজ জগতে পথচলা শুরু করেন আরিফিন শুভ। এরপর ২০০৭ সালে তিনি নাটকে আত্মপ্রকাশ করেন। খিজির হায়াত খান পরিচালিত ‘জাগো’ সিনেমার মাধ্যমে ২০১০ সালে বড় পর্দায় অভিষেক হয় শুভর।
এরপর তিনি ‘ছুঁয়ে দিলে মন’, ‘অগ্নি’, ‘তারকাঁটা’, ‘নিয়তি’, ‘মুসাফির’, ‘ঢাকা অ্যাটাক’, ‘সাপলুডু’, ‘মিশন এক্সট্রিম’ এবং সর্বশেষ ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’-এর মতো সিনেমা উপহার দিয়েছেন।