শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, ৭১-এর পরাজিত শক্তি ও তাদের বিদেশি প্রভুরা অতীতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, এখনো করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। এই ষড়যন্ত্র বারবার ব্যর্থ হয়েছে এবং বাংলার মাটিতেই ষড়যন্ত্রকারীদের কবর রচিত হবে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতাদের কবর জিয়ারতের পর তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে তিনি প্রয়াত এম. এ আজিজ, জহুর আহমেদ চৌধুরী, এম. এ হান্নান, আতাউর রহমান খাঁন কায়সার, ইসহাক মিয়া, এম. এ মান্নান, এ. বি. এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, কাজী ইনামুল হক দানুর কবর জিয়ারত শেষে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
জিয়ারত শেষে শিক্ষামন্ত্রী উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের প্রয়াত শ্রদ্ধাভাজন নেতারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন। তারা কোনোদিন অন্যায় ও অসত্যকে পরোয়া করেননি এবং প্রতিকূল সময়েও পরাভব মানেননি। এই পরীক্ষিত নেতারা শুধু চট্টগ্রাম নয় সারা দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মানব। এদেশের প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক, অসম্প্রদায়িক ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে তারা সচেষ্ট ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে পরীক্ষিত নেতারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। তাদের পথধরেই আমাদেরকে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগরী আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এদেশে গণতন্ত্র এবং শেখ হাসিনার বিজয় হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবার ও মোট পঞ্চমবারের মত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি দেশের মর্যাদা ও সম্মানকে যে উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন তাতেই ঈর্ষান্বিত হয়ে দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা এখনো নানামুখী ষড়যন্ত্রের বীজ বপন করছে। এই বীজ সমূলে উৎপাটন করতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ. জ. ম নাছির উদ্দীন বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন। আমেরিকাসহ কিছু পশ্চিমা দেশ আমাদের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নাক গলাতে গিয়ে তারা নিজেরাই ধরাশায়ী রয়েছেন। টিআইবি নামক একটি এনজিও সংগঠন তাদের কথিত গবেষণা প্রতিবেদনে যে কাল্পনিক অভিযোগ উত্থাপন করেছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা এই ভুঁইফোঁড় প্রতিষ্ঠানটি প্রকৃতিগত অর্থেই বিএনপির একটি অঙ্গসংগঠন। এদের মুখোশ উন্মোচন করার সময় এসেছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ নঈম উদ্দিন চৌধুরী, উপদেষ্টা আলহাজ সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ শফিকুল ইসলাম ফারুক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, শিল্প বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুল হক মিয়া ও চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম. এ লতিফ।