ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ২৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টাতেই নিহত হয়েছেন প্রায় আড়াইশো ফিলিস্তিনি।
এছাড়া গত অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৫৯ হাজার ফিলিস্তিনি। সোমবার (৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ২৩ হাজার ৮৪ জনে পৌঁছেছে বলে সোমবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
এছাড়া একই সময়ে আহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়ে ৫৮ হাজার ৯২৬ জনে পৌঁছেছে। মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৪৯ জন নিহত এবং ৫১০ জন আহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
মাঝে হামাসের সাথে এক সপ্তাহব্যাপী মানবিক বিরতির পর গত ডিসেম্বরের শুরু থেকে গাজা উপত্যকায় পুনরায় বিমান ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল। বিরতির পর শুরু হওয়া এই অভিযানে গাজায় হামলা আরও তীব্র করে দখলদার সেনারা।
আনাদোলু বলছে, ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং অব্যাহত অবরোধের কারণে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনি ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
অসংখ্য আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড যুদ্ধাপরাধ বা গণহত্যার সমান এবং তুরস্ক ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলো যুদ্ধাপরাধের দায়ে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আদালতে জবাবদিহি করতে কাজ করছে।