মর্যাদার আসন হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৯-এ আবারও বিপুল ভোটে জিতলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এ নিয়ে তিনি দ্বিতীয় দফায় এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় রিটার্নিং অফিসার ও বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম তাকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামসংলগ্ন জিমনেশিয়াম হলে স্থাপিত অস্থায়ী কেন্দ্র থেকে রিটার্নিং অফিসার চট্টগ্রাম মহানগরী ও সংলগ্ন এলাকা নিয়ে গঠিত ছয়টি সংসদীয় আসনের ফলাফল ঘোষণা করছেন।
চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনে মোট ১৪২টি ভোটকেন্দ্র। সবকটি আসনের ঘোষিত ফলাফলে নৌকার প্রার্থী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল পেয়েছেন এক লাখ ৩০ হাজার ৯৯৩ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টিল লাঙ্গল প্রতীকের সানজিদ রশিদ চৌধুরী পেয়েছেন ১৯৯২ এবং ন্যাপের (মোজাফফর) প্রার্থী মিটুল দাশ গুপ্ত কুঁড়েঘর প্রতীকে পেয়েছেন ৯২৮ ভোট। মোট প্রার্থী ছিলেন সাত জন।
এখানে মোট ভোটার চার লাখ ১৭ হাজার ৯৪৭। এর মধ্যে এক লাখ ৩৮ হাজার ৫৫৮ জন ভোট দিয়েছেন। ভোটের হার ৩৪ দশমিক ৪০ শতাংশ।
স্বাধীনতার পর থেকে মর্যাদার আসন হিসেবে পরিচিত এ এলাকা থেকে যিনি সংসদ নির্বাচনে জিতেছেন, তার দলই সরকার গঠন করেছে। মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাবা প্রয়াত রাজনীতিক এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ১৯৯১ সালে এ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে প্রার্থী হয়েছিলেন। বিএনপির আবদুল্লাহ আল নোমানের কাছে তিনি অল্প ভোটে হেরেছিলেন। ২৮ বছর পর ২০১৮ সালে নওফেল বিএনপির শাহাদাত হোসেনের মতো প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তরুণ এ সংসদ সদস্য শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।